বায়ুমান উন্নয়নে বাংলাদেশকে ৩০ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ক্লিন এয়ার প্রজেক্টে (বিসিএপি) ৩০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক। এ প্রকল্পের লক্ষ্য বায়ুমানের উন্নতি ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলো থেকে দূষণ কমিয়ে আনা। প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করছে বিশ্বব্যাংকের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ)। 

পাশাপাশি জাতীয় বায়ুমান ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে রান্নাঘর থেকে সৃষ্ট বায়ুদূষণ কমাতে সম্ভাব্য অনুদানও পাওয়া যেতে পারে। গতকাল দুপুরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এ কথা জানান।

সভায় পরিবেশ উপদেষ্টা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও ঢাকা শহরের খালগুলো পুনরুদ্ধারে বিশ্বব্যাংককে সহায়তার আহ্বান জানান, যাতে করে খালগুলো দিয়ে ‘ব্লু নেটওয়ার্ক’ তৈরি করা যায়। তিনি ‘ক্ষতি এবং ক্ষয়ক্ষতি তহবিলের’ জন্য সম্ভাব্য সহায়তা ও জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (এনএপি) বাস্তবায়নেও সহায়তার কথা তুলে ধরেন।

বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার ও বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেকসহ উভয় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে: পলিথিনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষায় পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা। আগামী ১ অক্টোবর থেকে শপিং মলগুলোয় এবং ১ নভেম্বর থেকে কাঁচাবাজারে পলিথিন ব্যাগের পরিবর্তে বিকল্প পণ্যের ব্যবহার শুরু করতে হবে।

গতকাল পরিবেশ অধিদপ্তরের আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে হলে নিজ দায়িত্বে পলিথিন পরিহার করতে হবে। ১ নভেম্বর থেকে পলিথিন উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে।’

এ সময় পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন। বক্তারা পলিথিনের ক্ষতিকর প্রভাব ও এর বিকল্প পণ্যের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন।

পরিবেশ উপদেষ্টা জানান, ডিসেম্বরের মধ্যে সচিবালয়কে প্লাস্টিকমুক্ত ঘোষণা এবং দোকান মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে পলিথিন বর্জনের কার্যক্রম ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে।

এর আগে পরিবেশ উপদেষ্টা নিষিদ্ধ পলিথিনের বিকল্প পণ্যসামগ্রী নিয়ে আয়োজিত মেলার উদ্বোধন করেন এবং মেলায় প্রদর্শিত ২৪টি স্টল ঘুরে দেখেন। মেলায় পরিবেশবান্ধব পণ্য যেমন পাটের ব্যাগ, কাগজের ব্যাগ, বাঁশ ও বেতের তৈরি বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শিত হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন