বাগেরহাট জেলার অভ্যন্তরীণ আটটি রুটে তিন শতাধিক বাস ও মিনিবাস চলাচল করে। এছাড়া ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, যশোর, বরিশাল-বরগুনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রতিদিন ১৫-২০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করছে। যাত্রীসেবার মান বাড়াতে ২০০৪ সালে নির্মাণ করা হয় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর বেড়েছে দূরপাল্লার বাস ও যাত্রীর সংখ্যা। তবে বাড়েনি সেবার মান। সামান্য বৃষ্টি হলেই টার্মিনালের ভেতরে ও আশপাশে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। কাদা পানিতে একাকার হয়ে যায় টার্মিনাল। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন চালক ও যাত্রীরা।
টার্মিনালসংশ্লিষ্টরা বলছেন, টার্মিনালের বেশির ভাগ অংশই কাদাপানিতে ডুবে রয়েছে। বৃষ্টি হলেই ডুবে যায়। পুরো টার্মিনালই ময়লা-আবর্জনায় ভর্তি। অধিকাংশ দূরপাল্লার বাস পার্কিং করা হয় রাস্তার পাশে। অনেক কাউন্টারও টার্মিনালের বাইরে। যাত্রীদের ওঠানামা করানো হয় প্রধান সড়ক থেকেই। শুধু বর্ষাকাল নয়, সারা বছরই বেহাল থাকে টার্মিনালটি। প্রায় ২০ বছরের পুরনো টার্মিনালের সংস্কার ও সম্প্রসারণের দাবি জানিয়েছেন বাস মালিক ও শ্রমিকরা।
চট্টগ্রাম থেকে ঘুরতে আসা যাত্রী নিয়ামুল মোল্লা বলেন, ‘বাস টার্মিনালে কাদাপানি ও ছোট-বড় গর্তের কারণে ভেতরে ঢুকতে সমস্যা হয়। এ কারণে ভেতরে প্রবেশ না করেই বাইরে থেকে টিকিট কাটতে হচ্ছে।’
রাস্তায় গাড়ি রেখে যাত্রী তুলছেন তিতাস এন্টারপ্রাইজ বাসের চালক মধু শেখ। তিনি বলেন, ‘বর্ষার সময় যাত্রীদের কাদাপানির মধ্যে দিয়ে টার্মিনালে যেতে হয়। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগে বাড়ছে। সারা বছরই টার্মিনাল বেহাল থাকে। এখন বৃষ্টির পানি জমে কাদা হয়েছে। কিন্তু অন্য সময় গাড়ি ধোয়া-মোছার পানি জমা হয়। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে।’
বাগেরহাট পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল করিম রিজভী বলেন, ‘বাস টার্মিনালটি সম্প্রসারণ করার জন্য আরো তিন একর জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। দ্রুতই কাজটি বাস্তবায়ন করা হবে।’
এ ব্যাপারে পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ডা. মো. ফখরুল হাসান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বর্তমানে বাস টার্মিনালটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’