দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর সঙ্গে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান সাক্ষাৎ করেছেন। দুদক ও টিআইবি সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকার সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেনের সঙ্গে বৈঠক
করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ও তার টিম। বৈঠকে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন সভাপতিত্ব
করেন। এছাড়া পরিচালক (মানি লন্ডারিং) গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী ও উপপরিচালক শারিকা ইসলাম
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের বিষয়ে মো. আক্তার হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, টিআইবির সঙ্গে
আমাদের সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) রয়েছে। সে হিসেবে আমরা বৈঠক করেছি। পরামর্শ চেয়েছি। এছাড়া
কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুদকের পক্ষ থেকে
মতবিনিময়ের আহ্বানের প্রেক্ষিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। দুদকের কার্যকারিতা বৃদ্ধির
জন্য সংশ্লিষ্ট আইনি সংস্কার ও প্রাতিষ্ঠানিক উৎকর্ষ উন্নয়নে দুদকের কিছু প্রত্যাশা
নিয়ে আলোচনা হয়। এক্ষেত্রে টিআইবির সহযোগিতা প্রত্যাশা করা হয়। তার মধ্যে বেশিরভাগ
বিষয় টিআইবির চলমান অধিপরামর্শ কার্যক্রমের আওতাভুক্ত, যা অব্যাহত থাকবে। একই সঙ্গে
দুদকের কার্যকারিতা ও গ্রহণযোগ্যতার স্বার্থে প্রতিষ্ঠানটিকে সার্বিকভাবে ঢেলে সাজানোর
অপরিহার্যতা সম্পর্কে টিআইবির অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
টিআইবি জানিয়েছে, আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা অনুযায়ী সৎ সাহস ও
দৃঢ়তার সঙ্গে রাজনৈতিক প্রভাব, আমলাতান্ত্রিক আনুগত্য ও স্বার্থের দ্বন্ধের ঊর্ধ্বে
থেকে অর্পিত দায়িত্ব পালনে দুদকের উচ্চ পর্যায়ে ঘাটতির নিরসন করা না হলে দুদক কখনো
কার্যকর হবে না। ফলে প্রতিষ্ঠানটির প্রতি মানুষের আস্থার সংকট নিরসন হবে না মর্মে মন্তব্য
করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক।