‘যারা গণহত্যা সমর্থন করেছেন তারাও সমান অপরাধী’

ফিচার প্রতিবেদক

ছবি: অভিনেতার ফেসবুক

গত সরকারের দুঃশাসন ও নানা অপকর্ম নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন ভুক্তভোগীরা। শিল্পীদের নির্বাচনী প্রচারণা থেকে শুরু করে দলীয় নানা কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত রাখার চেষ্টা করেছে আওয়ামী সরকার। তাদের হয়ে কাজ করতে শিল্পীদের ডাকা হতো নানা কৌশলে। দেখানো হতো প্রলোভন। যাদের ডাকা হয়েছিল তারা এবার মুখ খুলতে শুরু করেছেন। সুবিধার লোভে না পড়ে অনেকে নিজেদের আলাদা করে রেখেছিলেন। শিল্পীদের মধ্যে অনেকে ব্যক্তি স্বার্থের আশায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ক্যাম্পেইনে যোগ দিলেও কেউ কেউ সে লোভের ফাঁদে পা দেননি। আবার কিছুসংখ্যক ছিলেন একেবারেই নীরব। 

সদ্য বিদায়ী আওয়ামী সরকারের আমলে নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আনলেন অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ। তিনি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানান, গত নির্বাচনের আগেও মোটা অংকের টাকা দিয়ে তাকে অফার করা হয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে নির্বাচনে প্রচারণায় অংশ নিতে।

ইরফান সাজ্জাদ বলেন, ‘গত নির্বাচনে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করার জন্য আমাকে মোটা অংকের টাকা প্রস্তাব করা হয়েছিল। আমি সম্মানের সঙ্গে তাদের বলেছিলাম, আমি কোনো দলের পক্ষে সেটা যে দলই হোক নির্বাচনের প্রচারণায় অংশগ্রহণ করব না।’

কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কোনো দলকেই আমার যোগ্য মনে হয় না কখনো। সোমবার ফাঁস হয়েছে আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী কয়েকজন শিল্পীদের একটি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপের চ্যাটিং, যেখানে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ঘোর বিরোধিতা করেছিলেন তারা।’

ইরফান শিল্পীদের সম্পর্কে বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি অভিনেতা, গায়ক-গায়িকা, পরিচালক, অতঃপর একজন শিল্পী সাধারণ মানুষের তৈরি। মানুষের জন্যই আমরা কাজ করি আর সে মানুষই যখন গণহত্যার শিকার হচ্ছিল, তখন যেসব শিল্পী এসব সমর্থন করছিলেন, দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে আপনারা না শিল্পী হতে পেরেছেন না মানুষ। আপনারা আমাদের অনেক সিনিয়র, কিন্তু মানুষ হিসেবে আমাদের থেকে অনেক পিছিয়ে।’

এ নিয়ে তিনি ঘৃণা প্রকাশ করে বলেন, ‘ধিক্কার জানাই আপনাদের। আমি জানি না এ গ্রুপে আর কে কে আছেন বা ছিলেন, যারা গণহত্যা সমর্থন করেছেন তারাও সমান অপরাধী। এখন যতই ভালো সাজার চেষ্টা করেন কোনো লাভ নেই।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন