১১ জেলায় পানিবন্দি ৩০ লাখ মানুষ

এমন পানি দেখেনি ফেনীর কয়েক প্রজন্ম

বণিক বার্তা ডেস্ক

বন্যার পানিতে নিমজ্জিত ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ ছবি: সংগৃহীত

স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে ফেনীর পাঁচ উপজেলার প্রায় চার লাখ মানুষ। কোথাও কোথাও পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, সম্পদ বাঁচানোর চিন্তা বাদ দিয়ে প্রাণ বাঁচানোই মুখ্য হয়ে উঠেছে। সড়ক যোগাযোগ প্রায় বন্ধ; বিদ্যুৎ সংযোগও নেই। মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সার্ভিসও বন্ধ। পাহাড়ি ঢলের প্রবল চাপ ও অবিরাম বৃষ্টিতে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার কার্যক্রমও। স্থানীয়রা বলছেন, ফেনীর মানুষ কয়েক প্রজন্মে এমন পানি দেখেনি।

ফেনীর মতো ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে দেশের আরো ১০ জেলা। আকস্মিক এ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এসব জেলার ৩৫৭টি ইউনিয়ন। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ৪ লাখ ৪০ হাজার পরিবার। বানভাসি মানুষের সংখ্যা প্রায় ৩০ লাখ। গত দুই দিনে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে নয়জনের। বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা। যাত্রা বাতিল হয়েছে ২৬টি ট্রেনের। তলিয়ে গেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা। হাসপাতাল ডুবে যাওয়ায় বন্যাকবলিত অনেক এলাকায় ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্যব্যবস্থা। পানি ঢুকে পড়েছে বন্যাকবলিত এলাকার ছয় বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে। বন্যার্তদের উদ্ধারে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে ফেনী, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে। এছাড়া বানভাসিদের উদ্ধারে কাজ করছে কোস্টগার্ড, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিস ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

ফেনীর ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া, ফেনী সদর ও দাগনভূঞার প্রায় ৯৫ শতাংশ এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। পরশুরামের বীর চন্দ্রনগর গ্রামের আবদুল কাইয়ুম বলেন, ‘স্রোত এতটাই প্রবল যে এখন সম্পদ নয়, মানুষের জান বাঁচানোই দায় হয়েছে।’ 

পরশুরামের মির্জানগর এলাকা থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাঁচার আশায় আশ্রয়ের সন্ধানে ফেনী শহরের একটি হোটেলে উঠেছেন আমজাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘রাতভর আতঙ্ক, মানুষের আর্তি আর বন্যার প্রবল বিধ্বংসী রূপ দেখেছি। ভিটেমাটি ছেড়ে সামান্য কয়েকটি কাপড়চোপড় সম্বল হিসেবে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হতে বাধ্য হয়েছি।’

পরশুরামের শালধর গ্রামের মো. রহিম জানান, বেশির ভাগ এলাকার একচালা ও একতলা পাকা ঘর ডুবে গেছে। কোথাও আশ্রয় নেয়ার মতো অবস্থা নেই। 

আনন্দপুর ইউনিয়নের মো. শহীদুল্লাহ বলেন, ‘ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় প্রতি বছর পাহাড়ি ঢলের পানিতে বন্যা হলেও এমন বন্যা আগে কখনো দেখিনি। তিন উপজেলায় প্রায় প্রতিটি বাড়ি ও বসতঘরে পানি ঢুকে পড়েছে।’

দাগনভূঞা উপজেলার ওমরাবাদ গ্রামের আকবর হোসেন বলেন, ‘পরিবার-পরিজন নিয়ে কেবল প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো অন্যের হেফাজতে রেখে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছি। পানিতে ঘরবাড়িসহ চারপাশ ডুবে গেছে।’

ফেনীর জেলা প্রশাসক শাহীনা আক্তার বলেন, ‘বন্যাকবলিত এলাকার চার লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছে। সেখানে বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই।’

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, টানা বর্ষণ, সাগরের লঘুচাপ ও পূর্ণিমায় জোয়ারের পানি অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার প্রভাবে মূলত ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। তবে আজকের মধ্যে বৃষ্টিপাত কমে আসবে এবং বন্যা পরিস্থিতির পর্যায়ক্রমে উন্নতি ঘটবে।

এদিকে বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সব উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল বিকালে সাংবাদিকদের এ কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘কেবিনেট মিটিং হয়েছে বন্যা নিয়ে। আমি সেখানে ছিলাম। সেখানে এক্সটেনসিভ ডিসকাশন হয়েছে। সেখানে স্যার সবাইকে বলেছেন, বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ান।’

বন্যার হালনাগাদ তথ্য জানাতে গতকাল দুপুরে ব্রিফ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৫০ উপজেলার ৩৫৭টি ইউনিয়ন বন্যার কবলে পড়েছে। তবে এর বাইরে কক্সবাজার, চাঁদপুর ও রাঙ্গামাটিতেও বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কেএম আলী রেজা বলেন, ‘আট জেলার ৪ লাখ ৪০ হাজার ৮৪০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ২৯ লাখ ৪ হাজার ৯৬৪। মৃত্যু হয়েছে দুজনের। একজন ফেনীর; আরেকজন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার।’ তবে এর বাইরে কক্সবাজার, কুমিল্লা ও রাঙ্গামাটিতে সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। 

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে সার্বক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। ০২৫৫১০১১১৫ নম্বরে ফোন করলে তথ্য ও সহযোগিতা পাওয়া যাবে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহায়তা মিলবে ০১৩১৮২৩৪৫৬০ নম্বরে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিতে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ফেনী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চলে গত ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি ঘটেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে এবং দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারি বৃষ্টিপাত কমে আসতে পারে। এ সময় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মনু, খোয়াই ও ধলাই নদসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি প্রাথমিকভাবে স্থিতিশীল থেকে পরে উন্নতি হতে পারে।

টানা কয়েক দিনের ভারি বর্ষণে পানিবন্দি হয়েছে পড়েছেন লক্ষ্মীপুরের পাঁচটি উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার মধ্যে রয়েছে লক্ষ্মীপুর সদর, কমলনগর, রামগতি, রায়পুর ও রামগঞ্জ। 

কমলনগর উপজেলার চর পাগলা গ্রামের বাসিন্দা মো. নোমান হোসেন, রছিয়া বেগম, মিনোয়ারা বেগম, স্বপন ও হেজু ব্যাপারী জানান, এমন ভয়াবহ বন্যা তারা দেখেননি। পুকুরের সব মাছ ভেসে গেছে। ডুবে গেছে বেশির ভাগ বাড়িঘর। 

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, পাঁচ উপজেলার প্রায় ছয় লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে ১৮৯টি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী আখাউড়া উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বুধরাত রাত থেকে পানির পরিমাণ বাড়তে থাকে। এতে আখাউড়া উত্তর, দক্ষিণ, মোগড়া ও মনিয়ন্দ—এ চার ইউনিয়নের ৩৪টির বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়। এ উপজেলায় বুধবার বন্যায় সুবর্ণা আক্তার (২৫) নামে গর্ভবতী এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। 

কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে চৌদ্দগ্রাম, লাকসাম ও নাঙ্গলকোট উপজেলার হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ফসলি জমিসহ বসতবাড়ি ও পশুপাখির খামার ভেসে গেছে। পানি উঠেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেও। বন্যার পানিতে ডুবে নাঙ্গলকোটে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম কেরামত মিয়া। তিনি পৌরসভার দাউদপুর উত্তরপাড়ার মজুমদার বাড়ির বাসিন্দা।

এদিকে টানা ১৫৮ মিলিমিটার রেকর্ড বৃষ্টিপাতে নতুন করে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, মিরসরাই, ফটিকছড়ি, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী, পটিয়া, বোয়ালখালী ও কর্ণফুলী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব উপজেলার ৩১ ইউনিয়নের এক লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে চট্টগ্রাম শহরেও। বন্যার্তদের জন্য জেলায় খোলা হয়েছে ২৩৯টি আশ্রয় কেন্দ্র। 

মিরসরাই উপজেলার চার ইউনিয়নের অবস্থা সবচেয়ে নাজুক। ফেনী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে উঠে যাওয়ায় প্রায় প্রতিটি বসতঘরে পানি উঠে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত চার ইউনিয়ন হলো করেরহাট, হিঙ্গুলী, জোরারগঞ্জ ও ধুম। 

বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতেও। জেলার নয়টি উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারো পরিবার। গতকাল ভারি বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলের পানি ঢুকে শহরের নিম্নাঞ্চলও প্লাবিত হয়। এছাড়া মহালছড়ির লেমুছড়ি, মাইসছড়ি ও ২৪ মাইল এলাকায় পানি বেড়ে খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটি সড়কে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের বিভিন্ন এলাকা বন্যার কবলে পড়েছে। গতকাল মনু, ধলাই ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কমলগঞ্জ উপজেলার ধলাই নদ এবং কুলাউড়া ও রাজনগর উপজেলায় মনু নদের কয়েকটি স্থানে প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে গেছে। 

গত ২৪ ঘণ্টায় হবিগঞ্জে আরো নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জেলার নয়টি উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় এক হাজার পরিবার।

পানিবন্দি হয়ে নোয়াখালীর কয়েক লাখ মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। ফেনীর বন্যা পানি মুহুরী নদী হয়ে নোয়াখালীতে ঢুকে পড়ায় দুর্ভোগ আরো বেড়েছে। এতে নতুন করে সেনবাগ, কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলার কয়েকটি অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সব মিলিয়ে নোয়াখালীর সাতটি উপজেলা পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে রোপা আমন, মাছের ঘের ও পোলট্রি খামারের। 

কক্সবাজারের রামু উপজেলায় পাহাড়ি ঢলে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের পূর্ব জুমছড়ি এলাকার আমজাদ হোসেন এবং ঈদগড় ইউনিয়নের বৈদ্যপাড়া এলাকার চচিং রাখাইন (৫৫)। রামু থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান মৃত্যু ও নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারের পেকুয়া ও চকরিয়ায় অন্তত ২০ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি রয়েছে প্রায় এক লাখ মানুষ। বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে মাতামুহুরী নদীর পানি। 

পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে বাঘাইছড়ি ও কাউখালী উপজেলার বেশকিছু এলাকা। পানি বাড়ছে বিলাইছড়ির রাইংখ্যং নদী, জুরাছড়ির শলক নদ, বাঘাইছড়ির কাচালং, লংগদুর মাইনী, নানিয়ারচরের চেঙ্গী এবং বরকলের কর্ণফুলী নদীতে।

এর মধ্যে নানিয়ারচর উপজেলায় চেঙ্গী নদীর স্রোতে ভেসে শ্রেষ্ঠ চাকমা (৩) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বিকালে বুড়িঘাট ইউনিয়নের কুকুরমারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

চারদিনের টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলের প্রভাবে চাঁদপুর জেলার ৩১টি ইউনিয়নে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে বন্যাকবলিত এলাকায় দুইদিন ধরে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় এ জেলায় ১০২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

প্রতিবেদনটি তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, চাঁদপুর, রাঙ্গামাটি, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, কক্সবাজার ও খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন