ঈদুল আজহা উপলক্ষে মুক্তি পেয়েছে পাঁচটি
সিনেমা। রায়হান রাফী পরিচালিত ‘তুফান’, রাশিদ পলাশ নির্মিত ‘ময়ূরাক্ষী’, মোস্তাফিজুর রহমান পরিচালিত ‘ডার্ক ওয়ার্ল্ড’,
এমডি ইকবাল পরিচালিত ‘রিভেঞ্জ’ ও সুমন ধর পরিচালিত ‘আগন্তুক’।
এর
মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই দর্শকের আগ্রহ থাকছে শাকিব খান অভিনীত ও রায়হান রাফী পরিচালিত
তুফানের দিকে। হল পাওয়ার দিক থেকেও এগিয়ে আছে সিনেমাটি। দর্শকও দেখতে যাচ্ছেন তুফান।
এছাড়া আজ দুপুরের পর থেকেই মূলত মাল্টিপ্লেক্স ও হলে দর্শকের পদচারণা বেড়েছে।
সিনেমা
সাধারণত দর্শকরা বিকাল, সন্ধ্য ও রাতের শো দেখতে পছন্দ করেন। এছাড়া ঈদুল আজহায় সকালের
দিকে নানা কাজের ব্যস্ততাও থাকে। সে কারণেই বিকালের দিকে দর্শক সিনেমা হলে যেতে পছন্দ
করেন। আজও একই চিত্র দেখা গেছে।
ঢাকার
স্টার সিনেপ্লেক্স, সীমান্ত সম্ভার, সনি স্কয়ার, ব্লকবাস্টারে (যমুনা ফিউচার পার্ক)
একই রকম চিত্র দেখা যায়। দুপুরের পর থেকে দর্শক আগমন বেড়েছে প্রতিটি মাল্টিপ্লেক্সে।
এছাড়াও কেরানীগঞ্জ, চট্রগ্রাম, যশোর থেকেও একই রকম খবর পাওয়া গেছে।
মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলোর মধ্যে ‘তুফান’ নিয়েই দর্শকের আগ্রহ বেশি দেখা যাচ্ছে। এর বেশকিছু কারণ আছে। সিনেমায় অভিনয় করেছেন শাকিব খান। তার একটা ফ্যানবেজ তো আছেই। সেই সঙ্গে ‘তুফান’ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে অনেকদিন ধরে। সিনেমাটি নিয়ে যথেষ্ট প্রচার প্রচারণাও করেছেন নির্মাতারা। দর্শকরা জানান ট্রেলার থেকে শুরু করে কস্টিউম সবই তাদের আগ্রহ তৈরি করেছে। সেই সঙ্গে কলকাতার অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর অন্তর্ভূক্তি আগ্রহ আরো বাড়িয়েছে।
সিনেমা মুক্তির প্রথম দিনে অনেকেই ‘তুফান’
দেখেছেন। প্রতিক্রিয়া হিসেবে দর্শকরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন ‘তুফান’ শাকিব
খানের ভালো সিনেমাগুলোর অন্যতম হিসেবে জায়গা করে নেবে। এছাড়াও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে
বেশ ভালো একটি বাণিজ্যিক সিনেমা নির্মাণ করেছেন রায়হান রাফী। ঢাকার বাইরে অন্যান্য
জেলা শহরে সিঙ্গেল স্ক্রিনেও দর্শকের আনাগোনার খবর জানা গেছে তুফানকে কেন্দ্র করে।
স্টার সিনেপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে বিকালের দুটি শো-ই ছিল হাউজফুল।
হলের দিক থেকেও এগিয়ে তুফান। দেশে নিয়মিত
হলের সংখ্যা ৬০ থেকে ৭০টির মতো। ঈদের সময় আরো কিছু হল চালানো হয়। সে হিসাবে ২০০র মতো
হল থাকে ঈদে। এর মধ্যে তুফান পেয়েছে ১২৩টি হল। স্বাভাবিক ভাবেই বড় সিনেমা বেশি হল পায়।
তুফানের পাশাপাশি ট্রেলার দিয়ে আশা জাগিয়েছিল রাশিদ পলাশের ময়ূরাক্ষী। কিন্তু সিনেমাটি
নিয়ে খুব একটা প্রচার প্রচারণা না থাকার কারণে দর্শকও আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। বাকি তিনটি
সিনেমারও একই দশা। তবে হলে আসা কয়েকজন দর্শক জানিয়েছেন সুযোগ হলে তারা অন্য সিনেমাগুলোও
দেখবেন।
তবে উৎসবের আমেজ তৈরি করেছে সিনেমাগুলো। ঢাকার নানা এলাকায় সিনেমাগুলোর পোস্টারে ছেয়ে গেছে। অপরিকল্পিত হলেও কোথাও কোথাও পাশাপাশি তিন চারটি সিনেমার পোস্টার দেখে দেশীয় সিনেমা নিয়ে আশাবাদ তৈরি হয়।