অস্ট্রেলিয়াকে এক জোড়া জায়ান্ট পান্ডা
দেবে চীন। দুই দেশের মধ্যে উষ্ণ সম্পর্কের সর্বশেষ স্মারক হতে যাচ্ছে আইকনিক প্রাণীগুলো।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া সফরে এ ঘোষণা দিয়েছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং। খবর সিএনএন।
গত ১৫ জুন চারদিনের সফরে অস্ট্রেলিয়া
সফর শুরু করেন লি কিয়াং। এর পরদিন এডিলেড চিড়িয়াখানায় ভ্রমণে গিয়ে জায়ান্ট পান্ডা
পাঠানোর ঘোষণা দেন তিনি।
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী,
অস্ট্রেলিয়ায় থাকা এক জোড়া পান্ডা চলতি বছরের শেষে চীনে ফেরত যাবে। এরপর দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার
চিড়িয়াখানায় যাবে নতুন জুটি।
সাত বছরের মধ্যে প্রথম কোনো চীনা প্রধানমন্ত্রী
হিসেবে লি কিয়াং অস্ট্রেলিয়া সফর করছেন।
২০২০ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী স্কট
মরিসন কভিড-১৯ মহামারীর উৎপত্তি সম্পর্কে চীনে অনুসন্ধানের কথা বলেন। এর জের ধরে একাধিক
পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করে বেইজিং। সম্প্রতি কিছু পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহারের
পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন হয়েছে। মূলত ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় লেবার পার্টি
ক্ষমতায় আসার পর থেকে সম্পর্কের বরফ গলতে থাকে।
অস্ট্রেলিয়া সরকারের তথ্যানুযায়ী,
দেশটির বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার চীন, যার পরিমাণ বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ।
বেইজিংও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের অংশ হিসেবে ক্যানবেরাকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
বন্ধুত্বের দূত হিসেবে এরই মধ্যে ২০টির
বেশি দেশে পান্ডা পাঠিয়েছে চীন। এ কর্মসূচি প্রায়শই ‘পান্ডা কূটনীতি’ হিসেবে অভিহিত
হয়, যা কখনো কখনো সম্পর্কের ব্যারোমিটার হয়ে উঠে।
২০০৯ সাল থেকে অ্যাডিলেডের চিড়িয়াখানায়
রয়েছে চীনের পাঠানো জায়ান্ট পান্ডা জুটি ওয়াং ওয়াং-ফু নি। ২০১৯ সালে তাদের ফেরত দেয়ার
কথা থাকলেও পাঁচ বছরের জন্য চুক্তি বাড়ানো হয়। বর্তমানে দক্ষিণ গোলার্ধে এ দুটোর বাইরে
আর কোনো পান্ডা নেই।
চীনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদমর্যাদার
কর্মকর্তা লি কিয়াং এদিন জানান, তিনি এ জন্যও খুবই আনন্দিত যে স্বদেশ থেকে অনেক দূরে
বেশ ভালো রয়েছে ওয়াং ওয়াং ও ফু নি।