রুশ বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বিশেষ
অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন ফেডারেশন
অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল
আলম। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান।
দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরো জোরদার করতে আগ্রহী বাংলাদেশ।
সোমবার (২৭ মে) এফবিসিসিআইর গুলশান
কার্যালয়ে রুশ ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মাহবুবুল আলম।
তিনি বলেন, তৈরি পোশাকের পাশাপাশি ওষুধ,
হালকা প্রকৌশল পণ্য, প্লাস্টিক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য এবং অন্যান্য অনেক খাতে দুই দেশের
ব্যাপক বাণিজ্যিক সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের উদীয়মান অর্থনীতি এবং সুলভ জনশক্তির
সঙ্গে রাশিয়ার আধুনিক প্রযুক্তি দুই দেশের সহযোগিতা জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে
পারে।
বাংলাদেশের কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত
শিল্প অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করে এখন রফতানির জন্য প্রস্তুত দাবি করে এফবিসিসিআই সভাপতি
বলেন, তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানিকারক। বিশ্বের শীর্ষ
১০টি সবুজ পোশাক কারখানার মধ্যে ৮টি কারখানাই বাংলাদেশে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং
পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি এখন জনপ্রিয় হচ্ছে। এর বাইরেও ওষুধ, চামড়াজাত পণ্য, প্লাস্টিক,
হিমায়িত সামুদ্রিক খাবার, সিরামিক, পাট পণ্য, ভোগ্যপণ্য এবং গৃহস্থালী সামগ্রীর রফতানিকারক
সুনাম কুঁড়িয়েছে বাংলাদেশ।
রুশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ভারতে
নিযুক্ত রাশিয়ার ট্রেড কমিশনার ড. আলেকজান্ডার রাইবাস ও বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার
রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি. ম্যান্টিটস্কি। এ সময় রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ
এশিয়া অঞ্চলে রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক
সম্পর্ক দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন
উন্নয়ন প্রকল্পে রাশিয়ার সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশের মতো রাশিয়াও দুই দেশের উদ্যোক্তাদের মধ্যে বিটুবি মিটিং আয়োজনে
আগ্রহী।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন এসময় এফবিসিসিআই’র সিনিয়র
সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, শমী কায়সার প্রমুখ।