চট্টগ্রামে সমুদ্রগামী ও সমুদ্রভিত্তিক পেশা সম্পর্কিত সেমিনার অনুষ্ঠিত
হয়েছে। শনিবার (২৫ মে) আগ্রাবাদে অবস্থিত জাতি-তাত্ত্বিক যাদুঘর মিলনায়নে এ সেমিনারের
আয়োজন করা হয়। ‘সমুদ্রেই ভবিষ্যত’ প্রতিপাদ্যকে ভিত্তি করে সমুদ্রগামী জাহাজের পেশার
(নেভিগেশন ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং) পাশাপাশি সমুদ্রভিত্তিক শিপিং অর্থাৎ জাহাজ চলাচল
সম্পর্কিত ৩৫টি পেশার ওপর আলোকপাত করেন চার্টার্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ড. সাজিদ হোসেন।
তিনি বলেন, সময়োচিত সঠিক সিদ্ধান্তে সুবিশাল সমুদ্র এবং সমুদ্রকে
কেন্দ্র করে অসংখ্য কর্মধারায় তরুণ-তরুণীদের জন্য সৃষ্টি হতে পারে সুনিশ্চিত ভবিষ্যত।
উচ্চ মাধ্যমিকের পর মেরিন একাডেমিগুলোতে ব্যাচেলর অব মেরিটাইম সায়েন্সে অনার্স ডিগ্রি
নিয়ে সমুদ্রগামী জাহাজের ডেক অফিসার (সর্বোচ্চ পদ - মাস্টার মেরিনার [ক্যাপ্টেন])
এবং মেরিন ইঞ্জিনিয়ার (সর্বোচ্চ পদ - চিফ ইঞ্জিনিয়ার) হওয়া যায়। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের
স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সনদসহ আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচলের ব্যবস্থাপনা (শোর-বেজড) সম্পর্কিত
বহুমুখী ধারায় রয়েছে অসংখ্য অবারিত পেশার সুযোগ। চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি শীর্ষস্থানীয়
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উচ্চ মাধ্যমিক স্তর ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ম ও ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীদের
অংশগ্রহণ ছিল উৎসাহব্যঞ্জক। ভিডিও প্রদর্শনীসহ সেমিনারে তরুণ-তরুণীদের নানামুখী প্রশ্ন
করেন। নৌপ্রকৌশলী সাজিদ হোসেনকে সহায়তা প্রদান করেন বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির প্রকৌশলী
প্রশিক্ষক ও বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অফিসার নৌপ্রকৌশলী আতিকুর রহমান চৌধুরী।
সেমিনারে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জাতিতাত্ত্বিক যাদুঘরের উপ-পরিচালক
ড. মো. আতাউর রহমান, ডেইলি সানের চট্টগ্রাম ব্যুরো চিফ মো. নুর উদ্দিন আলমগীর এবং এসডিজি
ইয়ুথ ফোরামের প্রেসিডেন্ট মো. নোমান উল্লাহ বাহার।
পরিশেষে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা যাদুঘরের বিভিন্ন উপকরণ পরিদর্শন করেন। বিজ্ঞপ্তি