মন্ত্রী-উপদেষ্টাদের পদত্যাগ প্রজ্ঞাপন হলে কার্যকর —মন্ত্রিপরিষদ সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারের মন্ত্রিসভার টেকনোক্র্যাট (যারা সংসদ সদস্য নন) দুই মন্ত্রী ও একজন প্রতিমন্ত্রী এবং তিনজন উপদেষ্টা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি বলেছেন, প্রজ্ঞাপন জারি হলে তাদের পদত্যাগ কার্যকর হবে। প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গেজেট প্রকাশের আগে পদত্যাগপত্র জমা দেয়া এসব মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপদেষ্টা তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। সচিবালয়ে গতকাল নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

কতজন পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং পরবর্তী প্রক্রিয়া কী হবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে টেকনোক্র্যাট দুই মন্ত্রী, একজন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপদেষ্টা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। আপনারা জানেন, পদত্যাগপত্র দিলেও তা কার্যকর করার জন্য একটা পদ্ধতি আছে, সেই প্রক্রিয়া আমরা শুরু করেছি। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই তা কার্যকর হবে।’

পদত্যাগপত্র জমা দেয়া তিনজন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে রয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে এক মন্ত্রী অফিস করছেন বলে তথ্য রয়েছে, এ বিষয়ে মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘যখন গেজেট প্রকাশ করে পদত্যাগ কার্যকর করা হবে, তখন থেকে তারা অফিস করবেন না। এখন তাদের অফিস করতে বাধা নেই।’

কোন তিনজন উপদেষ্টা পদত্যাগ করেছেন জানতে চাওয়া হয় মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।’ কবে নাগাদ গেজেট হবে সাংবাদিকদের এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘প্রক্রিয়াটা সম্পন্ন হওয়ার পরে।’

প্রক্রিয়া শেষ হতে সাধারণত কতদিন লাগে, পাল্টা আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এখানে ধরাবাঁধা কোনো আইন নেই যে এতদিনের মধ্যে করতে হবে। এটার একটা প্রক্রিয়া আছে।’ তারা পদত্যাগ করায় ওই পদটা শূন্য হয়ে যাচ্ছে। তাহলে সেই ক্ষেত্রে নির্দেশনা কী জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সেটা এখনো হয়নি। আগে তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ হবে এবং গেজেট হবে। তারপর এ প্রসঙ্গ আসবে। যেহেতু মন্ত্রণালয় ভাগ করে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার, তখন তিনি সেটা বিবেচনা করবেন।’

প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা কিংবা তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা তো পদত্যাগ করছেন না। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মন্ত্রিপরিষদ থেকে যাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া করা হয়েছে, সেগুলো নিয়ে আমরা কথা বলছি। তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টার প্রসঙ্গটা হলো তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একেবারে অবৈতনিকভাবে। ওই কার্যালয় থেকে সেই সিদ্ধান্ত আসবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন