ডলারের অবনমনে তামার দরে উল্লম্ফন

বণিক বার্তা ডেস্ক

লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জে (এলএমই) তামার দাম আট সপ্তাহের সর্বোচ্চে উঠেছে। ডলারের অবনমন ও চীনের আবাসন খাতে শিল্প ধাতুটির চাহিদা বাড়ার প্রত্যাশা এক্ষেত্রে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করেছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।

সম্প্রতি চীন সরকার আবাসন খাতে সহায়তা করার ঘোষণা দিয়েছেন। এতে খাতটির ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। নির্মাণ খাতে জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত ধাতু হওয়ায় চীনা আবাসন খাতে তামার চাহিদা শিগগিরই বাড়বে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। ইতিবাচক এ খবরে তামার বাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রভাব পড়েছে।

লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জে গতকাল তিন মাসে সরবরাহ চুক্তিতে দাম বেড়েছে দশমিক ৮ শতাংশ। প্রতি টনের মূল্য উঠেছে ৮ হাজার ৩৩৫ ডলারে। দিনের শুরুতে দাম উঠেছিল ৮ হাজার ৩৩৯ ডলার ৫০ সেন্টে। গত ২৯ সেপ্টেম্বরের পরে এটিই ধাতুটির সর্বোচ্চ দাম।

এলএমইর পাশাপাশি তামার দাম বেড়েছে সাংহাই ফিউচার এক্সচেঞ্জেও (এসএইচএফই)। সর্বাধিক বিক্রীত ডিসেম্বরে সরবরাহ চুক্তিতে গতকাল এসএইচএফইতে ধাতুটির দাম দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। টনপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ৬৭ হাজার ৯৮০ ইউয়ানে বা ৯ হাজার ৪২৭ ডলার ১৩ সেন্টে। দিনের শুরুতে ধাতুটির দাম ৬৮ হাজার ৩০ ইউয়ানে উঠেছিল। গত ২৫ সেপ্টেম্বরের পর এসএইচএফইতে এটিই তামার সর্বোচ্চ দাম।

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ সুদহার আর বাড়াবে না। বাজারে এমন ইঙ্গিত থাকায় ডলারের অবনমন হতে শুরু করেছে। বর্তমানে ডলারের বিনিময় মূল্য দুই মাসের সর্বনিম্নে। এতে ভিন্ন মুদ্রার গ্রাহকের জন্য ডলারে পণ্য ক্রয় খরচ কমে এসেছে। ফলে তামা বিক্রি বেড়েছে, যা ধাতুটির দাম বাড়াতে সাহায্য করেছে।

এদিকে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আর্থিক নিয়ন্ত্রকরা আবাসন খাতে অর্থায়ন করার ঘোষণা দিয়েছেন। পাশাপাশি স্থানীয় সরকারের ঋণ ঝুঁকি সমাধানে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। রিয়েল এস্টেট বা আবাসন খাত তামা ও অন্যান্য ব্যবহারিক ধাতুর বড় ভোক্তা। ফলে আবাসন খাতের উন্নতি হলে ব্যবহারিক ধাতুর চাহিদা বাড়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

এদিকে গতকাল এলএমইতে অ্যালুমিনিয়ামের দাম বেড়েছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ। টনপ্রতি মূল্য দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৩৫ ডলার ৫০ সেন্টে। দস্তার দাম ১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে প্রতি টনের মূল্য স্থির হয়েছে ২ হাজার ৫৮২ ডলারে। নিকেলের দাম বেড়েছে দশমিক ৫ শতাংশ। মূল্য উঠেছে টনপ্রতি ১৬ হাজার ৯৮০ ডলারে। টিনের দাম দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে প্রতি টন লেনদেন হয়েছে ২৪ হাজার ৮৬৫ ডলারে। 

তবে কমেছে সিসার দাম। গতকাল ধাতুটির তাম দশমিক ১ শতাংশ কমে টনপ্রতি বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ২৯২ ডলারে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন