ট্রাভিস
হেডের ১২০ বলে ১৩৭ রানের অনবদ্য ইনিংসে হৃদয় ভাঙে ভারতীয়দের। বিশ্বকাপ ফাইনালে আগে
ব্যাটিং করে ২৪০ রানে অলআউট হওয়ার পর ছয় উইকেটে হেরেছে স্বাগতিকরা। অস্ট্রেলিয়া
ষষ্ঠবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতল, আর তৃতীয় মুকুটের স্বপ্ন পূরণ হলো না ভারতের।
ফাইনালের
আগে ভারতই ছিল একমাত্র অপরাজিত দল। আহমেদাবাদ ফাইনালে তারাই ছিল ফেভারিট। যদিও শেষ
হার্ডল পার হতে পারলেন না রোহিত শর্মারা। ব্যাটিং-বোলিং কোনোটিতেই এদিন ভারতকে
খুঁজে পাওয়া গেল না। হারশেষে বিষাদগ্রস্ত ভারতীয় ক্রিকেটাররা। বিধ্বস্ত রোহিত,
কোহলি, জাদেজাদের উদ্দীপ্ত করতে তাদের ড্রেসিংরুমে ছুটে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদি। এরপর খানিকটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেন ক্রিকেটাররা।
ম্যাচ
শেষ হওয়ার পর ভারতীয় ড্রেসিংরুমে মোদির আগমনের কথাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট
করেছে জানান অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা। তিনি বলেন, ‘আমরা দুর্দান্ত এক
টুর্নামেন্ট কাটিয়েছি, যদিও অল্পের জন্য শিরোপা জিততে পারিনি। আমাদের সবারই তো
হৃদয়টা ভেঙে গেছে, যদিও আমাদের প্রতি সমর্থকদের ভালোবাসা অব্যাহত আছে। গতকাল
ড্রেসিংরুমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমন আমাদের জন্য বিশেষ মুহূর্ত আর খুবই
প্রেরণাদায়ক বিষয় ছিল।’
এর
আগে আহমেদাবাদ ফাইনাল দেখেছেন মোদি, যে ম্যাচে তার দেশকে তিনি হারতে দেখেছেন।
মোদির নিজেরও মন খারাপ দেখা যায়। তিনি ট্রফিটা রোহিত শর্মার হাতে তুলে দিতে পারলেই
হয়তো খুশি হতেন। কিন্তু তাকে ট্রফিটি কিনা দিতে হলো অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট
কামিন্সের হাতে।
২০১৩
সালের পর কোনো আইসিসি ট্রফি জিততে পারেনি ভারত, যা তাদের কোটি কোটি ক্রিকেটপাগল
সমর্থকের জন্য ভীষণ হতাশারই। সর্বশেষ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জয় করে ভারত।
এ বছর দুটি আইসিসি ইভেন্টে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারল তারা। জানুয়ারিতে আইসিসি টেস্ট
চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালেও তাদের হারায় অজিরা। এবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনাল। দুটিতেই
ভারতকে হারানোর নায়ক ট্রাভিস হেড।
ভারত
এর আগে বিশ্বকাপ জিতেছে ১৯৮৩ ও ২০১১ সালে। ২০১৫ ও ২০১৯ সালে পরপর সেমিফাইনালে
বিদায় নেন কোহলিরা। এবার হার ফাইনালে।