
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী
হাবিবুল আউয়াল গত ১৬ নভেম্বর রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের
তরফ থেকেও দেয়া হয়েছিল সংলাপের বার্তা। কিন্তু আওয়ামী লীগ বা বিএনপি কোনো পক্ষই তাতে
সাড়া দেয়নি।
চলমান পরিস্থিতিতে যদি সংলাপ হয় ও বিএনপি
যদি ভোটে ফিরতে চায়, তাদের জন্য তফসিল পরিবর্তনের কথা নির্বাচন কমিশন বিবেচনা করবে
কিনা- সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ‘তফসিল পুনর্নির্ধারণে ইসি রাজি আছে’ বলে জানিয়েছেন
নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। আজ সোমবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন
কমিশন ভবনে নিজ কার্যালয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
কিছুদিন আগেও বিএনপিসহ যেসব দল নির্বাচন
বর্জনের ঘোষণা দিয়ে আন্দোলনে রয়েছে, তারা মত পাল্টে ভোটে আসতে চাইলে এবং সেই আগ্রহের
কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানালে আলোচনা করে সুযোগ তৈরির সম্ভাবনার কথা বলেছেন নাম প্রকাশে
অনিচ্ছুক একজন নির্বাচন কমিশনার।
রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘নিশ্চয় আমরা
আলোচনা করব। সিদ্ধান্ত নেব। উনারা সিদ্ধান্ত নিলে, আসতে চাইলে অবশ্যই আমরা ওয়েলকাম
করব। কখনোই চাইব না যে উনারা আসতে চেয়েছেন, আমরা ফিরায়ে দেব– এটা হবে না।’"
আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন রেখে দ্বাদশ
সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। সেই
সূচি অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত, বাছাই হবে ১-৪ ডিসেম্বর।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। তার তিন সপ্তাহ পর হবে ভোটগ্রহণ।
তফসিল ঘোষণার পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ
ও জাতীয় পার্টি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করলেও বিএনপি ও সমমনা দলগুলো হরতাল-অবরোধের
মতো কর্মসূচিতে রয়েছে। তাদের দাবি, বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং নির্বাচন
হতে হবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে।
গত ১৬ নভেম্বরে জাতির উদ্দেশে দেওয়া
ভাষণে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বিবাদমান রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
তিনি বলেছিলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নির্বাচনে সকল দলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে
সর্বদা স্বাগত জানাবে। পারস্পরিক প্রতিহিংসা, অবিশ্বাস ও অনাস্থা পরিহার করে সংলাপের
মাধ্যমে সমঝোতা ও সমাধান অসাধ্য নয়।’
এরপর মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস
বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে আলাদা চিঠি দিয়ে সংলাপের আহবান জানান।
তাতে সাড়া দেয়নি কোনো দল।