
গ্রামবাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরতে যশোর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বসেছিল পালাগানের আসর। ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় শিল্প নিয়ে পৌঁছে যাব আমরা উন্নতির শিখরে’ প্রতিপাদ্যে গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় এ আসর বসে।
গণজাগরণের শিল্প আন্দোলনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে সারা দেশেই এ পালাগান হচ্ছে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন। পালাগান পরিবেশন করেন ইউসুফ বয়াতি ও ডলি সরকারের দল। পালার নাম ছিল শরিয়ত-মারিফত।
এর আগে যশোর শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বুলুর সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হারুন অর রশিদ, উদীচি যশোর সংসদের সাধারণ সাজ্জাদুর রহমান খান বিপ্লব, ইউসুফ বয়াতি ও ডলি সরকার।
পালাকার ইউসুফ বয়াতি বলেন, ‘শরিয়তের আলেম ও মারেফতের ফকিরের বিতর্ক সুদূর অতীত কাল থেকেই চলছে। তবে পালা ও বিতর্কের সৌন্দর্য হলো ভিন্নমত নিয়েও সহাবস্থান করতে শেখা। সুফি-সাধকদের পালাগান-কবিগান আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। শিল্পকলা সে হারিয়ে যাওয়া গান নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছে। এ ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।’
যশোর শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বুলু বলেন, ‘পালাকাররা একেকজন দার্শনিক। তারা দর্শনের কথা বলেন। পালাগান বাংলার হাজার বছরের সংস্কৃতির ঐতিহ্য। বর্তমানে পালাগানের ঐতিহ্যে ভাটা পড়েছে। সে বিষয়কে অনুধাবন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সারা দেশে পালাগানের আসর হচ্ছে।’