
সৌদির আল-হিলাল ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে অনেক আগেই। তবে ইনজুরির
কারণে আল-হিলাল জার্সি গায়ে খেলা হয়ে উঠছিল না নেইমার জুনিয়রের। পরে খেলেছেন কয়েকটি
ম্যাচ, তবে গোলের দেখা পাননি ব্রাজিলিয়ান এ তারকা। এমনও হয়েছে মাঠজুড়ে তার উপস্থিতি
স্পষ্ট। শুধু জালের সঙ্গে দেখা হচ্ছিল না নেইমারের।
অবশেষে আল-হিলালের হয়ে নিজের গোলের খাতা খুলে ফেললেন সাবেক এই পিএসজি
তারকা। ফলে এফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে নেইমির গোলে ৩-০ ব্যবধানের বড় জয় পেয়েছে
দল। এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে এই মৌসুমে এটি নেইমারদের প্রথম জয়।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাতে ইরানের ক্লাব নাসাজি মাজান্দারানের মাঠে
তাদের মুখোমুখি হয় আল-হিলাল।
প্রতিপক্ষের মাঠে আল-হিলাল আধিপত্য দেখিয়ে খেলেছে। আগের ম্যাচ ড্র করায় এই ম্যাচ হয়ে দাঁড়িয়েছিল গুরুত্বপূর্ণ। তাদের সামনে জয়ের বিকল্প ছিল না। নাসাজি মাজান্দারানের বিপক্ষে ম্যাচের ১৮ মিনিটেই গোল করে দলকে লিড এনে দেয় ফুলহামের সাবেক স্ট্রাইকার মিতরোভিচ। নেইমার গোল পান ম্যাচের ৫৮ মিনিটে। ডি বক্স লাইনের সামনে থেকে বাঁ পায়ের বাঁকানো শটে গোল করেন ব্রাজিলের সর্বোচ্চ গোলদাতা। গোলের পর নেইমারের উদ্যাপনই বলে দিচ্ছিল, কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল এই গোল। আল হিলাল সর্বশেষ গোলটি করে বদলি খেলোয়ার সালেহ আল সেহেরি।
ম্যাচের ৩৮ মিনিটে তর্কে জড়িয়ে দুই দলের একজন করে ফুটবলার লাল কার্ড দেখেন। ফলে উভয় দলই পরিণত হয় দশ জনে। ইরানি ক্লাবটির আমির মোহাম্মদ হাউসম্যান্ড এবং নেইমারের সতীর্থ সালমান আল-ফারাজকে মাঠ ছাড়তে হয়।