অর্থ পাচারের মামলা

ড. ইউনূসসহ ১৩ জনকে দুদকের তলব

নিজস্ব প্রতিবেদক

গ্রামীণ টেলিকমের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. ইউনূসসহ সংশ্লিষ্ট ১৩ জনকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আগামীকাল তাদের রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে নোটিস দিয়েছে সংস্থাটি।

দুদক সূত্রে জানা যায়, এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান গত ২৭ সেপ্টেম্বর এ নোটিস পাঠিয়েছেন। মামলার তদন্তকাজের অংশ হিসেবে তাদের দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে।

নোটিসে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয়ে বক্তব্য প্রদানের জন্য ৫ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তদন্তকাজে সহযোগিতা করার জন্য আপনাকে অনুরোধ করা হলো। 

এর আগে গত ৩০ মে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনকে আসামি করে মামলাটি করে দুদক। মামলায় ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়।

গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এসএম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী। এছাড়া অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে গতকাল ড. ইউনূসের আইনজীবী ড. আব্দুল আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা নোটিস পেয়েছি এবং যথাসময়ে ড. ইউনূস হাজিরা দেবেন।’

২০২২ সালের ২৩ জুলাই ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে দুদকে চিঠি দেয় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। অভিযোগে বলা হয়, ১৯৯৬ সাল থেকে গ্রামীণ টেলিকমের বেশির ভাগ লেনদেনই সন্দেহজনক। শুধু তা-ই নয়, আইএলওতে দেয়া শ্রমিকদের অর্থ পাচারের অভিযোগেরও তদন্ত চেয়েছিল সংস্থাটি।

চিঠিতে আরো বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকমের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোয় এখন পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। পুরো বিষয়টির বিস্তারিত অনুসন্ধান প্রয়োজন। কারণ শ্রমিকদের নির্দিষ্ট শেয়ার দেয়ার কথা থাকলেও তাদের তা থেকে বঞ্চিত করেছেন ড. ইউনূস।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন