
সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরো ১৩ জন চিকিৎসাধীন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আর নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২ হাজার ৭৯৯ রোগী ভর্তি হয়েছে হাসপাতালে। সর্বশেষ ভর্তি রোগীর ৭৬ শতাংশই রাজধানীর বাইরের হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসার জন্য এসেছে। দেশে ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত হালনাগাদ তথ্যে এমনটিই বলেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, সোমবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৩ জনের মধ্যে সাতজনই রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩০। সর্বশেষ ভর্তি হওয়া রোগীর মধ্যে ৬৮২ ঢাকায় এবং ২ হাজার ১১৭ জন ঢাকার বাইরের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসার জন্য এসেছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৯ হাজার ১৯৮ ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ২ হাজার ৯৪০ এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ২৫৮ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ১১ হাজার ৬৮৩ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ৮৫ হাজার ১৪০ এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৫৪৩ জন। আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ২ লাখ ১ হাজার ৪৫৫ জন। ঢাকায় ৮১ হাজার ৫৩৮ এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ১৯ হাজার ৯১৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। অক্টোরের প্রথম তিনদিনেই এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৪১ জন।
উল্লেখ্য, দেশে বড় আকারে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয় ২০০০ সালে। তখন ডেঙ্গু চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা দেশের রোগতত্ত্বের জন্য নতুন ছিল। ওই বছর ডেঙ্গুতে ৯৩ জনের মৃত্যু হয়। এরপর প্রতি বছর মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ২০০৭-১১ সাল পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হলেও মৃত্যুর কোনো তথ্য নেই। করোনা মহামারীর আগের বছর ২০১৯ সালে বড় আকারে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ওই বছর ডেঙ্গুতে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন আক্রান্ত হয়েছিল। মৃত্যু হয় ১৭৯ রোগীর। ২০০০-২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে মারা গেছে ৮৬৮ জন। আর চলতি বছরের শুরু থেকে গতকাল পর্যন্ত মারা গেছে ১ হাজার ৩০ জন।