
মাছ শিকারসহ সাগরপথে মালয়েশিয়া যাত্রাকালে মিয়ানমারে বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে ২৯ বাংলাদেশীকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে মিয়ানমার। মংডুতে গতকাল টেকনাফ ২ বিজিবি ও মিয়ানমার ১ নম্বর বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্রাঞ্চের মধ্যে পতাকা বৈঠক শেষে তাদের হস্তান্তর করা হয়। জেটিঘাটে বিজিবি ২ টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
তবে দেশটির কারাগারে মানবেতর জীবনযাপন করেছে বলে ফেরত আসা বাংলাদেশীরা জানায়। প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে নাফ নদী, সাগরে মাছ শিকার এবং মালয়েশিয়া যাত্রাকালে মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের আটক করে।
বিজিবি জানায়, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল ও মংডুর ১ নম্বর বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্রাঞ্চের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল ইয়ে ওয়াই শোর নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দলের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ফেরত আসা বাংলাদেশীদের মধ্যে টেকনাফের সাতজন, উখিয়ার তিন, মহেশখালীর ১৩, রাঙ্গামাটির তিন এবং বান্দরবানের তিনজন রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর দুই দেশের বৈঠকের মাধ্যমে ২৯ বাংলাদেশীকে ফেরত আনা হয়েছে। তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘আমরা মাদক সাধারণ চোখে দেখি না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মাদকের জিরো টলারেন্স নীতিতে সীমান্তে বিজিবি রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছে। বৈঠকে সীমান্ত মাদক, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধসহ চোরাচালান বন্ধে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি মিয়ামারে সাজা শেষে আরো ১৫০ বাংলাদেশীকে ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া বাংলাদেশ-মিয়ানমার জলসীমানা অতিক্রম বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যদি জলসীমানা থেকে কোনো বাংলাদেশীকে গ্রেফতার করা হয়, তাৎক্ষণিক আমাদের অবগত করে সমাধান করার জন্য বলা হয়েছে।’