লাতিন মিউজিকের জনপ্রিয়তা ও আয় ক্রমেই বাড়ছে

ফিচার ডেস্ক

ছবি: গ্রুপো ফ্রন্টেরা

যুক্তরাষ্ট্রের শ্রোতাদের মধ্যে লাতিন মিউজিকের আবেদন বাড়ছেই। সেই সঙ্গে বাড়ছে সংগীতের এ জনরার আয়। ২০২২ সালের প্রথমার্ধের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে লাতিন মিউজিকের বাজার ১৫ শতাংশ বেড়েছে। লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের ভাষা স্প্যানিশ। তাই লাতিন মিউজিকের জনপ্রিয়তা বাড়ায় সবচেয়ে বেশি শোনা গানের ভাষা হিসেবে স্প্যানিশ দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ২৩ শতাংশ শ্রোতা স্প্যানিশ ভাষার গান শোনে।

২০২২ সাল ছিল লাতিন মিউজিকের জন্য একটি মাইলফলক। সে বছর জনরাটি ১১০ কোটি ডলার আয় করে রেকর্ড তৈরি করে। চলতি বছর আরো বেশি আয় করার মাধ্যমে নতুন রেকর্ড গড়ার দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে লাতিন মিউজিক। রেকর্ডিং ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকার প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে লাতিন মিউজিকের আয় ৬২ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এ প্রসঙ্গে সংস্থাটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রাফায়েল ফার্নান্দেজ বলেন, ‘২০২২ সালে লাতিন মিউজিক সবচেয়ে বেশি আয় করেছে। এর পেছনে মূলত দুটি বিষয় ভূমিকা রেখেছে। একদিকে ক্ল্যাসিক হিট গান শোনার পরিমাণ বেড়েছে। অন্যদিকে নতুন মুক্তি পাওয়া অনেক গান চার্টের প্রথম দিকের স্থানগুলো দখল করতে পেরেছে।’ সব মিলিয়ে লাতিন মিউজিক সংস্কৃতি ও সমাজে বড় প্রভাব বিস্তার করেছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে সংগীতের পঞ্চম শীর্ষ জনরা হলো লাতিন মিউজিক। প্রথম চারে আছে যথাক্রমে রিদম অ্যান্ড ব্লুজ, হিপ-হপ, পপ, রক ও কান্ট্রি মিউজিক। তবে লাতিন মিউজিকের শ্রোতারা প্রতি মাসে সংগীতবিষয়ক কর্মকাণ্ডে অন্য জনরার শ্রোতাদের তুলনায় ১২০ শতাংশ সময় ব্যয় করে। লাতিন মিউজিকের ৫৮ শতাংশ ভক্ত জানিয়েছেন যে প্রতি মাসে তারা সংগীত শোনার ক্ষেত্রে অর্ধেকের বেশি সময় লাইভ ইভেন্ট উপভোগের জন্য ব্যয় করেন।

লাতিন মিউজিকের এ প্রবৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রাখছে স্ট্রিমিং। বর্তমানে এ জনরার আয়ের ৯৮ শতাংশই আসে স্ট্রিমিং থেকে। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে পেইড সাবস্ক্রিপশন থেকে লাতিন মিউজিকের আয় ৪৩ কোটি ১০ লাখ, যা জনরাটির মোট আয়ের দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি। ডিজিটাল ও কাস্টমাইজড রেডিও সার্ভিস (প্যান্ডোরা, সিরিয়াসএক্সএম ও ইন্টারনেট রেডিও সার্ভিস) থেকে আয় ২০২২ সালের তুলনায় ১৩ শতাংশ বেড়ে ৩ কোটি ৬০ লাখ ডলারে উন্নীত হয়েছে। এ পরিমাণ লাতিন মিউজিকের আয় মোট আয়ের ৬ শতাংশ। পার্মানেন্ট ডাউনলোড ও ফিজিক্যাল ফরম্যাট থেকে আয় হয়েছে যথাক্রমে ৪৮ ও ৪৭ লাখ ডলার। উভয় ক্ষেত্রেই তা মোট আয়ের ১ শতাংশেরও কম।

সূত্র: ভ্যারাইটি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন