কভিডের এমআরএনএ টিকা আবিষ্কার

চিকিৎসায় নোবেল পেলেন দুই বিজ্ঞানী

বণিক বার্তা ডেস্ক

চিকিৎসাবিজ্ঞানে চলতি বছর নোবেল পেয়েছেন কভিড টিকার দুই গবেষক। যৌথভাবে নোবেলজয়ী এ দুজন হলেন হাঙ্গেরিয়ান-আমেরিকান বায়োকেমিস্ট ক্যাটালিন কারিকো এবং মার্কিন বিজ্ঞানী ড্রু উইসম্যান। নোবেল কমিটি গতকাল এ পুরস্কারের জন্য তাদের নাম ঘোষণা করে। সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে বাংলাদেশ সময় সোমবার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে নাম ঘোষণা করা হয়। 

নোবেল কমিটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, কভিড-১৯-এর টিকার বিকাশে অনন্য অবদান রেখেছেন এ দুই গবেষক। তাদের গবেষণা কভিডের বিরুদ্ধে কার্যকর এমআরএনএ ভ্যাকসিনের বিকাশে অবদান রেখেছে। তাদের যুগান্তকারী গবেষণার মাধ্যমে এমআরএনএ কীভাবে মানুষের রোগ প্রতিরোধক্ষমতার সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করে সে সম্পর্কে বোঝাপড়ায় মৌলিক পরিবর্তন এসেছে। 

কভিডের এমআরএনএ টিকার কল্যাণে মহামারীর সময়ে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে। মডার্না ও ফাইজার-বায়োএনটেকের কভিড টিকা এ প্রযুক্তিতে তৈরি। বর্তমানে ক্যান্সারসহ আরো বিভিন্ন রোগের টিকা আবিষ্কারের গবেষণায় এ এমআরএনএ প্রযুক্তি কাজে লাগানো হচ্ছে। 

ক্যাটালিন কারিকোর জন্ম ১৯৫৫ সালে হাঙ্গেরির জোলনকে। তবে জন্ম ও বেড়ে ওঠা হাঙ্গেরিতে হলেও কয়েক দশক তিনি কাজ করছেন যুক্তরাষ্ট্রে। আর যুক্তরাষ্ট্রের লেক্সিংটনে ১৯৫৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন ড্রু উইসম্যান। দুজনই যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত। 

ঘোষণার আগে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান বা সংক্ষিপ্ত তালিকা সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। বরাবরের মতোই পুরো প্রক্রিয়া অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে। 

প্রথা অনুযায়ী প্রতি বছর অক্টোবরের প্রথম সোমবার শুরু হয় নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা। প্রথম দিন ঘোষণা করা হয় চিকিৎসাশাস্ত্রের নোবেল। ছয়টি বিভাগে ছয়দিন বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। 

সুইডেনের বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নামে ও তার রেখে যাওয়া অর্থে চিকিৎসা, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, সাহিত্য ও শান্তিতে এ পুরস্কার দেয়া হয়। তার মৃত্যুর পাঁচ বছর পর ১৯০১ সালে এ পুরস্কার দেয়া শুরু হয়। পরে এর সঙ্গে যুক্ত হয় অর্থনীতি। অর্থনীতিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৬৮ সাল থেকে এ পুরস্কার দিচ্ছে সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন