
চলতি মাসে ভোক্তা পর্যায়ে এলপিজির দাম ১২ কেজিতে এবার ৭৯ টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। গত মাসে এটি ১৪৪ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। ঘোষিত নতুন দাম গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হয়েছে।
অক্টোবরের জন্য প্রতি ১২ কেজির সিলিন্ডারের দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৩৬৩ টাকা। সেপ্টেম্বরে এ দাম ছিল ১ হাজার ২৮৪ টাকা। এলপিজির ১২ কেজি সিলিন্ডার সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় গৃহস্থালি রান্নার কাজে।
টিসিবি ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গতকাল নতুন দাম জানায় বিইআরসি। বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন নতুন এ দর ঘোষণা করেন। সংস্থাটি প্রতি মাসেই এলপিজির দাম নির্ধারণ করে। তবে সব জায়গায় কার্যকর হতে দেখা যায় না বলে অভিযোগ রয়েছে।
২০২১ সালের এপ্রিল থেকে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি। এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এ দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এ সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি।
বিইআরসির নতুন দাম অনুযায়ী, বেসরকারি এলপিজির মূল্য সংযোজন করসহ (মূসক/ভ্যাটসহ) দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি প্রায় ১১৩ টাকা ৬১ পয়সা, যা গত মাসে ছিল ১০৭ টাকা ১ পয়সা। এ হিসাবে বিভিন্ন আকারের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারিত হবে।
তবে সরকারি কোম্পানির সরবরাহ করা এলপিজির দাম বাড়ানো হয়নি। আর গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির (অটো গ্যাস) নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার প্রায় ৬২ টাকা ৫৪ পয়সা, যা এতদিন ছিল ৫৮ টাকা ৮৭ পয়সা। বাজারে সাড়ে পাঁচ থেকে শুরু করে ৪৫ কেজি পর্যন্ত বিভিন্ন আকারের সিলিন্ডার সরবরাহ করা হয়। গৃহস্থালি রান্নার পাশাপাশি রেস্তোরাঁ, পরিবহন, ছোট-বড় শিল্প-কারখানায়ও এলপিজি ব্যবহার করা হচ্ছে।