নিম্নমুখী তুলার বৈশ্বিক উৎপাদন ও ব্যবহার

বণিক বার্তা ডেস্ক

আগামী মৌসুমে তুলার উৎপাদন নামবে ১১ কোটি ২৪ লাখ বেলে ছবি: রয়টার্স

কঠিন সময় পার করছে বৈশ্বিক তুলা শিল্প। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির ব্যবহার ও উৎপাদন উভয়ই কমে গেছে। ২০২৩-২৪ মৌসুমের ওয়ার্ল্ড মার্কেটস অ্যান্ড ট্রেড রিপোর্টে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন কৃষি বিভাগ। খবর ফাইবার টু ফ্যাশন।

মার্কিন কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্য বলছে, চলতি অক্টোবর থেকে তুলার নতুন বৈশ্বিক উৎপাদন মৌসুম শুরু হয়েছে। আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে এ মৌসুম শেষ হবে। তবে টানা দুই মাস ধরে তুলার উৎপাদন কমে গেছে। সেপ্টেম্বরে দেয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী মৌসুমে পণ্যটির উৎপাদন নামবে ১১ কোটি ২৪ লাখ বেলে। দুই মাস আগের পূর্বাভাসের চেয়ে উৎপাদনের পরিমাণ কমেছে ৪৪ লাখ বেল। এদিকে ব্রাজিলে উৎপাদন বেশি হলেও অন্যান্য অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ায় বৈশ্বিক সরবরাহ কমেছে পণ্যটির। বিশেষ করে পশ্চিম আফ্রিকা, যুক্তরাষ্ট্র, গ্রিস, মেক্সিকো ও ভারতসহ অন্যান্য অঞ্চলে তুলার আবাদ ও ফলন দুটোই এখন নিম্নমুখী।

পণ্যটির বৈশ্বিক ব্যবহারো কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। প্রধান তুলা ব্যবহারকারী দেশ ভারত ও চীনে পণ্যটির চাহিদা কমে গেছে। ১১ লাখ বেল কমে তুলা ব্যবহারের পূর্বাভাস নেমেছে ১১ কোটি ৫৯ লাখ বেলে। যদিও পূর্বাভাসে এ বছর গত বছরের চেয়ে ৫০ লাখ বেল বেশি ব্যবহারের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তবে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার ফলে প্রত্যাশিত ব্যবহার হার কিছুটা কমতে পারে বলে রিপোর্টে আশঙ্কা করা হয়েছে।

ভিয়েতনাম, বাংলাদেশসহ তুলার প্রধান আমদানিকারক দেশগুলোয় পণ্যটির ব্যবহার কমে আসায় রিপোর্টে তুলার বৈশ্বিক বাণিজ্যিক পূর্বাভাসও নিম্নমুখী করা হয়েছে। প্রায় ছয় লাখ বেল কমিয়ে ২০২৩-২৪ বিপণন বছরে পণ্যটির সর্বশেষ সংশোধিত বাণিজ্য প্রাক্কলন ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৩৩ লাখ বেল।

সরবরাহ কমায় যুক্তরাষ্ট্রের রফতানি পূর্বাভাসও কমে গেছে। দেশটির তুলা রফতানির প্রাক্কলন ধরা হয়েছে ১ কোটি ২৩ লাখ বেল, যা আট বছরের সর্বনিম্ন। সরবরাহ কমায় পণ্যটির বৈশ্বিক মজুদ পূর্বাভাসও ১৬ লাখ বেল কমে দাঁড়িয়েছে নয় কোটি বেলে।

অন্যদিকে, ২০২২-২৩ বিপণন বছরে যুক্তরাষ্ট্রে তুলার ফার্ম প্রাইস সামান্য বাড়তে পারে। পাউন্ডপ্রতি ১ সেন্ট বেড়ে ৮০ সেন্ট হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বর্তমানে বিশ্ববাজারে তুলার দাম কম। এ কারণে অন্যান্য ফসলের তুলনায় কম লাভজনক। তার ওপর সারের সরবরাহ সংকটও চাষীদের তুলা উৎপাদনে নিরুৎসাহিত করছে। এসব কারণে প্রধান উৎপাদনকারী দেশগুলোয় তুলার আবাদ কমছে, এতে নিম্নমুখী হয়ে উঠছে উৎপাদন।

তবে তুলার বাজারদরে উত্থান-পতনের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে চীন। দেশটিতে চাহিদা কমে গেলে পণ্যটির উৎপাদন কমা সত্ত্বেও দাম নিম্নমুখী চাপে পড়তে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন