
গত ৭৪ বছরে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) বলিষ্ঠ নেতৃত্বে চীন যুগান্তকারী পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে পথ অতিক্রম করেছে আর সৃষ্টি করেছে দুটি বিস্ময়, বিশ্বের অন্য কোথাও যার জুড়ি মেলা ভার। যেমন দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দীর্ঘমেয়াদি সামাজিক স্থিতিশীলতা। চীনা বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত সমাজতন্ত্রের পথ ধরে চীনা জনগণ কেবল তাদের মাতৃভূমিরই সুগভীর উন্নয়নমূলক পরিবর্তন সাধন করেনি, বরং বিশ্বকে একটি উন্নত স্থানে পরিণত করেছে। আধুনিকীকরণের চীনা পথের রয়েছে অতুলনীয় জীবনীশক্তি। সর্বক্ষেত্রে একটি মধ্যপন্থী সমৃদ্ধ সমাজ গঠনের প্রথম শতবর্ষী লক্ষ্য অর্জনের পর, চীনা জনগণ এখন চীনকে সর্বক্ষেত্রে একটি মহান আধুনিক সমাজতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গড়ে তোলার দ্বিতীয় শতবর্ষী লক্ষ্যের দিকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে।
বিশ্ব ক্রমবর্ধমান অস্থিতিশীলতা ও অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হচ্ছে এবং বৈশ্বিক অর্থনীতি একটি প্রস্তরাকীর্ণ পুনরুদ্ধারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তা সত্ত্বেও চীনের অর্থনীতি নিজস্ব মাপদণ্ড সুরক্ষিত রেখে এবং নিজ গুণমানের উন্নতির মাধ্যমে কঠোর চাপের মুখেও টিকে আছে। এ বছরের প্রথমার্ধে চীনের জিডিপি ৫৯ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন আরএমবি ছাড়িয়েছে, যেখানে বছরে প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৫ শতাংশ, যা গত বছরের ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হারের চেয়ে বেশি এবং একই সময়ের মধ্যে অন্যান্য অনেক বড় উন্নত অর্থনীতিকে ছাড়িয়ে গেছে। আইএমএফের মতে, চীনের অর্থনীতি ৫ দশমিক ২ শতাংশ প্রসারিত হবে, যা বিশ্ব অর্থনীতির মোট প্রবৃদ্ধির এক-তৃতীয়াংশ অবদান রাখবে। চীন দীর্ঘমেয়াদে একটি ঊর্ধ্বগামী গতিপথে থাকবে এবং বিশ্বব্যাপী পুনরুদ্ধারে আস্থা ও প্রেরণা জারি রেখে উচ্চমানের উন্নয়নের পথে অবিচলিত প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে।
দশ বছর আগে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং মস্কো স্টেট ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন্সে ভাষণ দেয়ার সময় একটি সমন্বিত ভবিষ্যতের এক বিশ্ব সম্প্রদায় গঠনের রূপকল্প উত্থাপন করেছিলেন। রূপকল্পটি চীনের কূটনীতি ও কার্যকলাপের বিভিন্ন দিকে নিহিত, যার মধ্যে রয়েছে শির প্রস্তাবিত গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ, গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভ ও গ্লোবাল সিভিলাইজেশন ইনিশিয়েটিভকে এগিয়ে নেয়া এবং সেই সঙ্গে যৌথভাবে বেল্ট অ্যান্ড রোড নির্মাণ। গত এক দশকে রূপকল্পটি ক্রমবর্ধমান সংখ্যক দেশ কর্তৃক ব্যাপকভাবে প্রশংসিত ও স্বীকৃত হয়েছে। এছাড়া জাতিসংঘসহ নেতৃস্থানীয় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর দাপ্তরিক নথিপত্র দ্বারা অনুমোদিত হয়েছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে চীন গত এক দশকে অবিচলভাবে এ রূপকল্পকে সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে একটি পরিবেষ্টিত প্লাটফর্মে পরিণত করেছে, যা প্রবৃদ্ধি ও ঐক্য জোরদারে সমর্থন করে এবং একতরফাবাদ ও আধিপত্যবাদকে নিরুৎসাহিত করে ভারসাম্য বজায় রাখে।
চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ আদান-প্রদানের ইতিহাস হাজার বছরেরও বেশি পুরনো। ১৯৭৫ সালে স্থাপিত হওয়ার পর থেকে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কগুলো পারস্পরিক আস্থা এবং যৌথ উন্নয়ন দ্বারা সংজ্ঞায়িত হয়েছে, যা উভয় পক্ষের জন্য সমানভাবে লাভজনক সহযোগিতার প্রকৃষ্ট উদাহরণ স্থাপন করেছে। দুই জাতির মধ্যে ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে চলে আসছে।
চীন ও বাংলাদেশ অবিচল পারস্পরিক আস্থা নিয়ে সময়ের পরীক্ষিত বন্ধু। চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক ২০১৬ সালে সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারত্বে উন্নীত হয় এবং ২০১৯ সালে গভীরতর হয়। গত মাসে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বৈঠক করেন, যেখানে তারা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অধিকতর উন্নয়নের জন্য কৌশলগত দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। চীন ও বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরেই নিজ নিজ মূল স্বার্থ ও উদ্বেগের বিষয়ে একে অন্যকে সমর্থন করে আসছে। চীন জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় এবং বহিরাগত হস্তক্ষেপের বিরোধিতায় বাংলাদেশকে সমর্থন করে, যাতে দেশটি অভ্যন্তরীণ ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারে এবং উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবন অর্জন করতে পারে। বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে ‘এক চীন নীতি’ অনুসরণ করে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে চীন যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে তার প্রশংসা করে।
চীন ও বাংলাদেশ যৌথ উন্নয়নের ঘনিষ্ঠ অংশীদার। এ বছর চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের হাত ধরে বিআরআইর যাত্রার দশম বার্ষিকী উদযাপন হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশ হিসেবে বাংলাদেশই প্রথম বিআরআইতে যোগদান করে। গত সাত বছরে, বিআরআই সোনালি বঙ্গোপসাগরে শিকড় গেড়েছে এবং প্রস্ফুটিত হয়েছে। পদ্মা বহুমুখী সেতু এবং এর রেল সংযোগ, দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার প্রকল্প, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল এবং আরো অনেক এরূপ প্রকল্পের ন্যায় মেগা প্রকল্পগুলো একের পর এক সম্পন্ন হয়েছে, যা বাংলাদেশের জনগণের জীবনযাত্রার উন্নয়নে এবং অবকাঠামোগত অবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিআরআইয়ের প্রশংসা করে বলেন যে এটি বাংলাদেশের জন্য উন্নয়নের একটি নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে, দুই দেশের উচিত উন্নয়নের ঐতিহাসিক সুযোগগুলোকে কাজে লাগানো, উন্নয়ন কৌশলগুলোকে আরো একীভূত করা, উচ্চমানের উন্নয়নের লক্ষ্যে বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতা চালিয়ে যাওয়া এবং একে অন্যের পরিপূরক ও সম্পূরক হিসেবে আমাদের নিজ নিজ অর্থনৈতিক সুবিধাগুলোকে কাজে লাগানো, বিশেষ করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, তথ্যপ্রযুক্তি, নতুন জ্বালানি ও কৃষি।
পরস্পরকে সমর্থনকারী চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে ভালো ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক। এ বছর চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের প্রস্তাবিত চীন এবং তার প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে বন্ধুত্ব, আন্তরিকতা, পারস্পরিক সুবিধা এবং অন্তর্ভুক্তির নীতিরও দশম বার্ষিকী। এক দশক ধরে চীন এ কূটনৈতিক নির্দেশিকা মেনে চলছে এবং সক্রিয়ভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। এ বছর আন্তর্জাতিক শিশু দিবস উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বাংলাদেশী শিশু আলিফা চীনের (‘চায়না’-এর বাংলা প্রতিশব্দ ‘চীন’ অনুসারে মেয়েটির নামকরণ) চিঠির উত্তর দিয়েছেন, তাকে কঠোর পড়াশোনা করতে, তার স্বপ্নগুলো অনুসরণ করতে এবং বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বকে চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করেছেন। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের উত্তরটিকে উভয় দেশে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানানো হয়েছে, যা দুই দেশের বন্ধুত্বকে নতুন ঐতিহাসিক তাৎপর্য এবং সমসাময়িক গুরুত্ব দিয়েছে। আলিফা চীনের গল্পের মতো আরো অনেক হৃদয়স্পর্শী গল্প রয়েছে, যা চীন ও বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়েছে।
বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে ভালো সম্পর্ক বেশি বেশি যোগাযোগের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থেকে সৃষ্টি হয়। জনগণের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়কে আরো জোরদার করতে চীন ও বাংলাদেশের নেতাদের মধ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্য। এ লক্ষ্যে চীন আন্তর্জাতিক ভ্রমণ এবং কর্মী বিনিময়ের বিশাল চাহিদা মেটাতে একাধিক সুবিধামূলক ব্যবস্থা চালু করেছে। আপাতত ঢাকা ও চীনের নির্দিষ্ট শহরগুলোর মধ্যে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে ৫০টি সরাসরি ফ্লাইট রয়েছে, যার মাধ্যমে আমাদের দুই দেশের মধ্যে ১০ হাজার লোকের যাতায়াত সম্ভব। এ বছর বাংলাদেশস্থ চীনা দূতাবাস এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার, রাজনৈতিক দল, মিডিয়া, থিংক ট্যাংক এবং তরুণদের কয়েক ডজন প্রতিনিধির চীন সফরের ব্যবস্থা করেছে। বিনিয়োগ ও পর্যটনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে আসা চীনা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর ও চীনা নাগরিকদের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
চীনের হাংঝুতে অনুষ্ঠিত ১৯তম এশিয়ান গেমসে এ মুহূর্তে বাংলাদেশী ক্রীড়াবিদরা তাদের মাতৃভূমির গৌরব অর্জনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আমরা প্রতিযোগিতায় তাদের সফলতা কামনা করি এবং চাই বিশ্বে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল হোক। এশিয়ান গেমসের প্রতিপাদ্য, ‘হৃদয় থেকে হৃদয়, ভবিষ্যতে’-এর মতোই যতদিন চীন এবং বাংলাদেশ হৃদয় থেকে হৃদয়ে এবং হাতে হাত রেখে হাঁটবে, আমরা অবশ্যই ভবিষ্যৎকে জয় করবো এবং জাতীয় পুনরুজ্জীবনের চীনা স্বপ্ন এবং সোনার বাংলার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করবো।
চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব দীর্ঘজীবী হোক!
বাংলাদেশের জনগণের স্বপ্নের সেতু নির্মাণ করেছে সিআরইসি
বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের পথিকৃৎ ও অগ্রদূত হিসেবে, চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড (সিআরইসি) নব্বইয়ের দশক থেকে সক্রিয়ভাবে বাংলাদেশের বাজার অন্বেষণ করেছে এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রেখেছে। সিআরইসি বাংলাদেশে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের মধ্যে দুটি সবচেয়ে অত্যাবশ্যক অবকাঠামো ‘পদ্মা সেতু’ এবং এর ‘রেল সংযোগের’ ঠিকাদার।
উপরের স্তরে চার লেনের সড়কপথ এবং নিম্ন স্তরে একটি সিঙ্গেল-ট্র্যাক রেলপথসংবলিত বাংলাদেশের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ এবং দীর্ঘতম সড়ক রেল সেতু ‘পদ্মা সেতু’ দেশের পূর্ব ও পশ্চিম রেলওয়ে নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করে, যার সুফল সরাসরি ভোগ করছে বাংলাদেশের আট কোটি মানুষ। ফলে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে এবং বার্ষিক ভিত্তিতে দারিদ্র্যের হার শূন্য দশমিক ৮৪ শতাংশ হ্রাস পাবে।
কর্ণফুলী নদীর দুই পাড়কে সংযুক্ত করতে সিসিসিসি
২০১৭ সালের ডিসেম্বরে, চীনা সরকারের রেয়াতি ঋণ এবং চীনা প্রেফারেন্সিয়াল এক্সপোর্ট বায়ারস ক্রেডিট ঋণের ভিত্তিতে অর্থায়নে চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোং লিমিটেড (সিসিসিসি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু করে। এটি বাংলাদেশের প্রথম আন্ডারওয়াটার টানেল এবং কোন চীনা কোম্পানি কর্তৃক বিদেশে টানেল বোরিং মেশিন (টিবিএম) ব্যবহারে নির্মিত প্রথম বৃহৎ ব্যাসের আন্ডারওয়াটার টানেল। প্রকল্পটির পরিচালনায় নকশা, সংগ্রহ ও নির্মাণ সাধারণ চুক্তি (ইপিসি) মডেল প্রয়োগ করা হয়েছে। টানেলটি ৯ দশমিক ২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ, যার মধ্যে মূল অংশ ৩ দশমিক ৩১৫ কিলোমিটার। এটি একটি দ্বিমুখী এবং চার লেনের এক্সপ্রেসওয়ে মডেলে চীনা মানদণ্ড বজায় রেখেছে, যার গতি প্রতি ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হলে টানেলটি চট্টগ্রামের ট্রাফিক পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটাবে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।
ঢাকায় পানির অধিক পরিশোধনে পাওয়ার চায়না
চীনা সরকারের রেয়াতি ঋণের ভিত্তিতে অর্থায়নে নির্মিত দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার প্লান্টটি বাংলাদেশের প্রথম আধুনিক বৃহৎ আকারের পয়োনিষ্কাশন শোধনাগার এবং এ ধরনের পয়ঃশোধনাগার হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ায় বৃহত্তম। প্লান্টটি উদ্বোধন করার সময়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় পানি ব্যবস্থার উন্নয়নে ও পরিবেশ সুরক্ষায় এর ভূমিকার বিষয়ে তার উচ্চ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। পাওয়ার কনস্ট্রাকশন করপোরেশন অব চায়না (পাওয়ারচায়না) এ প্লান্টটির ঠিকাদার, যা পরিচ্ছন্ন ও স্বল্প-কার্বন শক্তি, পানি সম্পদ, পরিবেশগত নির্মাণ এবং অবকাঠামোর জন্য বিনিয়োগ এবং অর্থায়ন, পরিকল্পনা নকশা, প্রকৌশল নির্মাণ, সরঞ্জাম উৎপাদন এবং পরিচালন ব্যবস্থাপনা প্রদান করে। সম্পূর্ণ শিল্প চেইনের সুবিধার সাথে, পাওয়ারচায়নার ১৩০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ব্যবসা রয়েছে এবং বছরের পর বছর শিল্প নেতৃস্থানীয় এবং উচ্চ মানের প্রকল্পগুলো সরবরাহ করেছে, আর এরই মাধ্যমে সারা বিশ্ব গ্রাহকদের কাছে বিশেষভাবে মূল্যায়িত হয়েছে।