
সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও থাইল্যান্ড তাদের বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করেছে। চলতি বছরের প্রথমার্ধে তেলবহির্ভূত দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ৩২০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে বাণিজ্য। খবর অ্যারাবিয়ান বিজনেস।
বাণিজ্য ও বিনিয়োগপ্রবাহ বাড়ানোর জন্য উভয় দেশ সক্রিয়ভাবে কৌশলগুলো নিয়ে আলোচনা করছে। পর্যালোচনা করছে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তির অগ্রগতি। বর্তমানে আলোচনার চতুর্থ রাউন্ড চলছে।
থাইল্যান্ডে উচ্চপর্যায়ের সফরকালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ড. থানি বিন আহমেদ আল জেয়ুদি দেশ দুটির মধ্যে বাণিজ্য, লজিস্টিকস, জ্বালানি, ভ্রমণ, পর্যটনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে থাই কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। সফরকালে তিনি থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রী জুরিন লাকসানউইসিট ও থাই চেম্বার অব কমার্সের চেয়ারম্যান সানান আঙ্গুবলকুলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাত ও থাইল্যান্ড সম্পর্ক সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বিকশিত হয়েছে। থাইল্যান্ড এখন আসিয়ান অঞ্চলের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। একইসঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত মধ্যপ্রাচ্যে থাইল্যান্ডের শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদার।
ড. আল জেয়ুদি দুই দেশের মধ্যে অংশীদারত্বের তাৎপর্যের ওপর জোর দিয়ে জানান, থাইল্যান্ড সংযুক্ত আরব আমিরাতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদার। থাইল্যান্ড দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি। পাশাপাশি সম্ভাবনাময় ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে নিজের অবস্থান দৃঢ় করছে। উভয় দেশই বিনিয়োগকারী ও এসএমই খাতের জন্য নতুন প্রকল্পের পাশাপাশি অংশীদারত্ব বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করার মাধ্যমে শক্তিশালী অংশীদারত্ব গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।