
বঙ্গোপসাগরে
সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এতে
সেন্ট মার্টিন দ্বীপে অবস্থানরত তিন শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন। গতকাল শুক্রবার (২৯
সেপ্টেম্বর) দুপুরের পর থেকে কক্সবাজারে বৈরী আবহাওয়া থাকার কারণে টেকনাফ থেকে সেন্ট
মার্টিন রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।
বিষয়টি
নিশ্চিত করছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী।
তিনি
বলেন, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে শুক্রবার দুপুরের পর থেকে কক্সবাজারে
বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। সাগর উত্তাল থাকায় টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিন রুটে নৌযান
চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাই নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ, স্পিডবোট, সার্ভিস ট্রলারসহ
সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।
আবহাওয়া
অধিদপ্তর থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত এই পথে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ
থাকবে। তবে দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকদের কোনো ধরনের অসুবিধা না হয়, সে জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ
প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এমভি
বারো আউলিয়া জাহাজের একজন টিকিট বিক্রেতা বলেন, গতকাল শুক্রবার সকালে টেকনাফের দমদমিয়া
জেটিঘাট থেকে এমভি বারো আউলিয়া জাহাজে করে ৮৫২ জন পর্যটক সেন্টমার্টিনে ঘুরতে যায়।
দুপুরের পরে জাহাজটিতে প্রায় ৬০০ পর্যটক টেকনাফ নিয়ে ফিরে এলেও বাকিরা রাতযাপনের জন্য
দ্বীপে অবস্থান করেন।
টেকনাফ-সেন্ট
মার্টিন নৌপথে চলাচলকারী সার্ভিস ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ ও স্পিডবোট
মালিক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম বলেন, সতর্ক সংকেতের কারণে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারো নৌযান চলাচল শুরু হবে।
সেন্ট
মার্টিনের বিচকর্মী জয়নাল আবেদীন বলেন, সতর্ক সংকেত থাকায় দ্বীপে আটকে পড়া পর্যটকেরা
জেটিঘাট এলাকা, বাজার, সমুদ্র সৈকতে হাঁটাচলার পাশাপাশি সমুদ্রস্নানের মাধ্যমে সময়
পার করছেন। সৈকতের বিপজ্জনক স্থানে লাল পতাকা টানানো হয়েছে। ওই এলাকায় গোসলে না নামতে
পর্যটকদের বারবার বলা হচ্ছে।
সেন্ট
মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, বৃহস্পতি ও শুক্রবার
সেন্ট মার্টিনে বেড়াতে আসা কয়েকশ পর্যটক দ্বীপে আটকা। হঠাৎ করে সাগরে লঘুচাপের কারণে
এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।