
পটুয়াখালীর
আউলিয়াপুরে শিশু রাতুলকে হত্যার ও ওই পরিবারের দোকানে চুরির ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনসহ
শিশুর মৃত দেহ উদ্ধার ও বিপুল পরিমাণ চোরাই মালামালসহ ২ জন আসামি গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার
(২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পটুয়াখালী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত
করেছেন পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম।
তিনি
বলেন, গত ১৯ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে ছোট আউলিয়াপুরের বাসিন্দা ও ডেকোরেটর সাউন্ড ব্যবসায়ী
গোলাম রহমান লিটনের ১০ বছর বয়সী শিশু ছেলে রাতুলকে সাইকেল কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে
নিজের পরিবারের সকলকে খাবারের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাওয়ানোর কথা বলে। আসামিদের দেওয়া
পরিকল্পনা অনুযায়ী রাতুল তার পরিবারকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাওয়ায়। পরে আসামিরা রাতুলের
সহযোগিতায় বসতঘর ও বসতঘর সংলগ্ন ডেকোরেটর দোকানে ঢুকে মালামাল চুরি করে।
পরে
ঘটনার প্রতক্ষ্যদর্শী ও সাক্ষী নির্মূল করতে রাতুলকে অপহরণ করে নিয়া যায় এবং হত্যা
করে। রাতুল ছোট আউলিয়াপুর এলাকার মো. লিটন ঘরামীর ছেলে। সে আউলিয়াপুর হাট সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র ছিল।
সোমবার
পটুয়াখালীর জৈনকাঠী ইউপির সেহাকাঠী এলাকা হতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই আসামিকে আটক করে
পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন— ছোট আউলিয়াপুরের মফেজ মাতুব্বরের
ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪৫) ও জৈনকাঠী ইউপির এনছান হাওলাদারের ছেলে হানিফ হাওলাদার (৪১)।
প্রাথমিক
জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা রাতুলকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে
হানিফ হাওলাদারের রান্না ঘরের মাটির নিচ থেকে সাউন্ড সিস্টেমের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি
এবং ডোবা থেকে অটোরিকশার ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়।
আসামিদের
আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
সংবাদ
সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আহমাদ মাঈনুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ
সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জসীম
উপস্থিত ছিলেন।