
উজানের ঢলে রংপুরে তিস্তা ও যমুনেশ্বরী নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। গতকাল বিকালে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার এবং বদরগঞ্জে যমুনেশ্বরী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টা পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে বদরগঞ্জ ও কাউনিয়া উপজেলার নদীতীরবর্তী এলাকায় সাময়িক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। অন্যদিকে কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমারের পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘উজানের ঢলে তিস্তা, ধরলা, দুধকুমারসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের কিছু এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে।’
এদিকে কুড়িগ্রামে তিস্তা অববাহিকার নিচু এলাকাগুলোয় পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে রাজারহাট ও উলিপুর উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার দুই পারের বেশকিছু এলাকা।
রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের বাসিন্দা ইয়াকুব আলী জানান, হঠাৎ করে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ার পর আবার কমতে শুরু করেছে। যদি পানি নেমে যায় তাহলে আবাদের তেমন ক্ষতি হবে না। আর যদি আবারো পানি বৃদ্ধি পায় তাহলে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রামে ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে আজকের মধ্যে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, উজান ও দেশের অভ্যন্তরে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আজকের মধ্যে পানি কমতে শুরু করবে। এই মুহূর্তে বন্যার কোনো পূর্বাভাস নেই।’