
বৈরী আবহাওয়া ও আমদানি কমায় দিনাজপুরে হিলি স্থলবন্দরে আবারো বাড়তে শুরু করেছে আমদানীকৃত পেঁয়াজের দাম। তিনদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি ৪-৬ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে ভারত থেকে নাসিক ও ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ আমদানি হয়। তবে বর্তমানে আমদানীকৃত পেঁয়াজের বেশির ভাগই ইন্দোর জাতের। নাসিক জাতের পেঁয়াজের আমদানি কমে এসেছে।
বন্দরে ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ পাইকারিতে (ট্রাকসেল) বিক্রি হচ্ছে ৪৯-৫০ টাকা কেজি দরে, যা তিনদিন আগেও ৪৩-৪৪ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এছাড়া নাসিক জাতের পেঁয়াজ আগে ৫০-৫১ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ৩-৪ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা সেলিম হোসেন বলেন, ‘হিলি স্থলবন্দর থেকে পেঁয়াজ ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন মোকামে সরবরাহ করি। গত সপ্তাহের প্রথম দিক থেকেই বন্দর দিয়ে আমদানি বাড়ায় দাম অনেকটাই কমে এসেছিল। সে সময় আমরা বন্দর থেকে ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৪৩-৪৪ টাকায় এবং নাসিক জাতের পেঁয়াজ ৫০-৫১ টাকায় কিনে মোকামগুলোয় সরবরাহ করেছিলাম। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার থেকে বন্দর দিয়ে আমদানি কমে যাওয়ায় দাম ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে। কেজিপ্রতি ৬ টাকা দাম বেড়েছে।’
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রেখেছেন আমদানিকারকরা। সম্প্রতি বাজার নিয়ন্ত্রণে ভারতের পাশাপাশি অন্যান্য দেশ থেকেও পণ্যটি আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। ফলে পাকিস্তান, মিসর ও তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি শুরু হওয়ায় দেশের বাজারে পণ্যটির সরবরাহ বেড়ে যায়। ফলে চাহিদা কমতে শুরু করে মোকামগুলোয়। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি থাকায় দামও কমে গিয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে লোকসান এড়াতে আমদানির পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন বন্দরের আমদানিকারকরা। সেই সঙ্গে বৃষ্টির কারণে ট্রাকে থাকা পেঁয়াজ পচে নষ্ট হচ্ছে। বাধ্য হয়ে এসব পেঁয়াজ কম দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে আমদানিকারকদের। এ বিষয়টিও আমদানি কমে যাওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা পালন করছে।’
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘গত সপ্তাহে বন্দর দিয়ে ৩০-৪০ ট্রাক করে পেঁয়াজ আমদানি হলেও বর্তমানে তা কমে ১৫-২০ ট্রাকে নেমেছে। বৃহস্পতিবার বন্দর দিয়ে ১৫টি ট্রাকে ৪৫৩ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। গতকাল দুপুর পর্যন্ত ১৫ ট্রাক আমদানি হয়।’