ভোমরা স্থলবন্দর

শুকনো মরিচের আমদানি বেড়েছে তিন গুণ

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে শুকনো মরিচ আমদানি বেড়েছে। দেশের বাজারে বেশি চাহিদা থাকায় আমদানি ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে আমদানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় তিন গুণ বেড়েছে।

তবে আমদানি বাড়লেও দেশের বাজারে মসলা পণ্যটির দাম কমছে না। পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, পণ্যটি বাড়তি দামেই আমদানি করতে হচ্ছে। এ কারণে পাইকারি ও খুচরা বাজারে দাম কমছে না।

ভোমরা শুল্কস্টেশনের রাজস্ব বিভাগ থেকে জানা গেছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম দুই মাস অর্থাৎ জুলাই ও আগস্টে এ বন্দর দিয়ে শুকনো মরিচ আমদানি হয়েছে ১০ হাজার ৩৯৭ টন। যার আমদানি মূল্য ২৬১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে এ বন্দর দিয়ে শুকনো মরিচ আমদানি হয়েছিল ৩ হাজার ৭৭৯ টন। যার আমদানি মূল্য ছিল ৮৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। সে হিসাব অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে মসলা পণ্যটির আমদানি বেড়েছে ৬ হাজার ৬০০ টন।

মসলা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভোমরা স্থলবন্দরের মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আবু হাসান বলেন, ‘সম্প্রতি বাজারে শুকনো মরিচের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। ফলে অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় সম্প্রতি তার প্রতিষ্ঠানে আমদানিও বেড়েছে।’

সাতক্ষীরা জেলা সদরের সুলতানপুর বড় বাজারের পাইকারি মসলা বিপণন আড়ত মেসার্স মামা-ভাগ্না ভাণ্ডারের ব্যবস্থাপক মো. জহুরুল হক জানান, তার আড়তে শুকনো মরিচ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৮০ টাকা দরে, যা গত এক মাস আগেও ৪৬০-৪৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। শুকনো মরিচের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও দাম কমছে না কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অধিকাংশ মসলাপণ্য আমদানিনির্ভর। বর্তমানে বেশি দামে শুকনো মরিচ আমদানি করতে হচ্ছে। এ কারণে দেশের বাজারে দাম কমছে না।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন