টেবিলওয়্যার রফতানিতে শীর্ষে শাইনপুকুর

বাংলাদেশের সিরামিক রফতানি খাত এখন (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সময়) নিম্নমুখী রয়েছে। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক উভয় বাজারেই ভোক্তাদের ডিপোজেবল ইনকাম মূল্যস্ফীতির কারণে সংকুচিত হয়েছে। বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনীতির যে অবস্থা, বিশেষ করে জ্বালানি ও খাদ্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির কারণে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতির প্রভাব বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিতে ঋণাত্মক প্রভাব ফেলেছে। ইউরোপের বাজারে

বাংলাদেশ সিরামিক রফতানি খাতের বর্তমান পরিস্থিতি কী?

বাংলাদেশের সিরামিক রফতানি খাত এখন (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সময়) নিম্নমুখী রয়েছে। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক উভয় বাজারেই ভোক্তাদের ডিপোজেবল ইনকাম মূল্যস্ফীতির কারণে সংকুচিত হয়েছে। বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনীতির যে অবস্থা, বিশেষ করে জ্বালানি ও খাদ্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির কারণে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতির প্রভাব বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিতে ঋণাত্মক প্রভাব ফেলেছে। ইউরোপের বাজারে মূলত ক্রিসমাস বা বড়দিনকেন্দ্রিক ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রি বেশি হয়, কিন্তু গত বছর সেভাবে বিক্রি হয়নি। দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে সিরামিক তৈজসপত্র একটি টেকসই পণ্য। তাই এর চাহিদা ভোক্তাদের কাছে তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে তা খাদ্য ও জ্বালানির মতো ভোক্তাদের অগ্রাধিকার ক্রয়ের তালিকায় নেই। এমতাবস্থায় এর চাহিদা বর্তমানে নিম্নমুখী। শাইনপুকুর সিরামিক প্রধানত ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার বাজারকেন্দ্রিক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর সুইডেন, নরওয়ে, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশ প্রতিরক্ষা খাতের বাজেট বাড়িয়ে দিয়েছে। জার্মানির অর্থনীতি শিল্প উৎপাদন ও রফতানিনির্ভর। যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট জ্বালানি সরবরাহের বিঘ্নতার কারণে দেশটিতে জ্বালানির উৎস পরিবর্তন করতে হয়েছে। ফলে বেশি মূল্যে জ্বালানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে, যে কারণে তাদের শিল্পোৎপাদনও নিম্নমুখী। উৎপাদন কমে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই তাদের রফতানিতেও এর প্রভাব পড়েছে। জার্মানির অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ইউরোপের অন্য দেশগুলোর অর্থনীতি এতে প্রভাবিত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সার্বিকভাবে ইউরোপের বাজার নিম্নমুখী অবস্থায় রয়েছে। এজন্য তারা নতুন কোনো অর্ডার দিচ্ছে না। আমেরিকান অর্থনীতিও খুব একটা চাঙ্গা নয়। তাদের সুদহার বেশি। দেশটির ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা ক্রেডিট-নির্ভর। যে কারণে ভোক্তা পর্যায়ে সেখানে ব্যয়ের ওপর সুদহার গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে। সামগ্রিকভাবে বললে মূল্যস্ফীতি, সুদহারসহ বিভিন্ন কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ভোক্তা পর্যায়ে ভোগের চাহিদা কমেছে। ফলে সিরামিক তৈজসপত্র চাহিদায়ও ঋণাত্মক প্রভাব পড়েছে। তবে দেশী-বিদেশী প্রতিযোগীর তুলনায় শাইনপুকুর সিরামিকস আপেক্ষিকভাবে কম ক্ষতিগ্রস্ত এবং ১০ বছর ধরে সিরামিক পণ্য রফতানির দিক থেকে বাংলাদেশে শাইনপুকুর সিরামিকস শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।

শাইনপুকুরের বার্ষিক রফতানির পরিমাণ কেমন এবং কোন কোন দেশে রফতানি হয়? ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বিষয়ে তো তথ্য জানা গেল।

শাইনপুকুর গ্রাহকদের রুচি ও চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে উন্নতমানের পণ্য তৈরি করে থাকে। এক্ষেত্রে বৈশ্বিকভাবে আমাদের উপস্থিতি আছে। উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপ ছাড়াও নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের বাজারেও আমাদের বিচরণ রয়েছে। এমনকি চীনের বড় বড় শহরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানের হোটেল-রেস্তোরাঁয় আমাদের পণ্য ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে সিরামিক তৈজসপত্রের বড় বাজার বস্তুত ইউরোপকেন্দ্রিক। যুক্তরাজ্যও আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বাজার। যুক্তরাজ্যের কথা বলছি, কভিড-১৯ মহামারীর সময় সেখানকার বেশকিছু স্বনামধন্য ব্র্যান্ড কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। নতুন করে সেখানে বাজার বিস্তারে আমরা সচেষ্ট হয়েছি। শাইনপুকুর ২০২২-২৩ অর্থবছরে আপেক্ষিকভাবে পূর্ববর্তী দুই বছরের তুলনায় ভালো রফতানি করেছে। আগের দুই বছর আমাদের মোট রফতানির পরিমাণ মিলিয়ন ডলারের হিসাবে এক অংকের ঘরে নেমে গিয়েছিলাম। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আবার রফতানি দুই অংকে উন্নীত হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে শাইনপুকুর সিরামিকসের রফতানি ১০ মিলিয়ন (১ কোটি) ডলার অতিক্রম করেছে, যা ২০১৯-২০ অর্থবছরে ছিল ৮.৬০ মিলিয়ন (৮৬ লাখ) ডলার। তবে আমাদের সবচেয়ে ভালো রফতানি হয়েছিল ২০১৫-১৬ অর্থবছরে। তখন আমরা রফতানি করেছি প্রায় ১৪ মিলিয়ন (১ কোটি ৪০ লাখ) ডলারের মতো। কিন্তু ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে আবার ধাক্কায় পড়েছি। আমাদের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে জানি, সেপ্টেম্বরে আমাদের কারখানা সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত থাকে। কারণ অক্টোবরের মধ্যে আমাদের ক্রিসমাসের শিপমেন্ট সমাপ্ত করতে হয়। বর্তমানে বাজার নিম্নমুখী হওয়ায় সেই রকম ব্যস্ততা আর নেই।

আমার ব্যক্তিগত ধারণা, ২০২৪ সালের জুনের আগ পর্যন্ত ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি একটি স্থিতিশীল অবস্থানে আসবে না। বর্তমানে তাদের প্রেফারড নেশন হলো ভিয়েতনাম ও আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। আসিয়ানভুক্ত ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ডের মতো দেশগুলো তাদের পছন্দের তালিকায় আছে। এসব প্রত্যেক দেশেরই কমপেরেটিভ সুবিধা আছে যেমন তাদের দেশীয় কাঁচামাল ব্যবহারের সুযোগ। বাংলাদেশের উৎপাদনকারীদের কমপেরেটিভ সুবিধা ছিল কম মূল্যে উন্নতমানের প্রাকৃতিক গ্যাসের ও কম মজুরির শ্রমিকলভ্যতা। বর্তমানে প্রাকৃতিক গ্যাসের আপেক্ষিক সুবিধা আর নেই। আমাদের শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা কম হওয়ায় কম মজুরির সুবিধা আগের মতো নেই। এতৎসত্ত্বেও বিশ্ব অর্থনীতিতে যখন একটি স্থিতিশীলতা আসবে তখন আমরা আমাদের অবস্থান ধরে রাখতে পারব বলে আমার বিশ্বাস আছে। কারণ প্রথমত, আমাদের টেকসই প্রযুক্তিসম্পন্ন কারখানা এবং দক্ষ ও অভিজ্ঞ মানবসম্পদ। দ্বিতীয়ত, আমরা পর্যায়ক্রমে আমাদের গুণগতমান অনেক উন্নত করেছি। সুনির্দিষ্ট প্যারামিটার অনুযায়ী আমরা পণ্যের গুণগতমান বজায় রেখেছি। কভিড মহামারীর সময় অনেকে টিকে থাকতে পারেনি। আলহামদুলিল্লাহ আমরা আমাদের ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছি। কভিডের সময় যখন সবকিছু বন্ধ ছিল তখনো আমরা আমদানীকৃত কাঁচামাল যথাসময়ে খালাস করি। সব ধরনের প্রতিকূলতা অতিক্রম করে আমরা সময়মতো আমাদের রফতানি সম্পন্ন করেছি। আমাদের ক্লায়েন্টদের কনফিডেন্স আমরা ধরে রাখতে পেরেছি। আগামী দিনে মার্কেট পজিটিভ ট্রেন্ডে এলে আমি মনে করি বায়াররা আমাদের কাছে ফিরবে এবং আমরা পুনরায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে পারব।

আপনারা তো মূলত টেবিলওয়্যারই রফতানি করেন?

হ্যাঁ শাইনপুকুর টেবিলওয়্যারই উৎপাদন ও রফতানি করে। তবে আমরা অভ্যন্তরীণ বাজারের চেয়ে রফতানিকে প্রাধান্য দিয়ে থাকি। টাইলস ও স্যানিটারি উৎপাদনকারীরা মূলত অভ্যন্তরীণ বাজারমুখী। বর্তমানে যে ৪ কোটি ডলারের পঞ্চাশ সিরামিক পণ্য বাংলাদেশ থেকে রফতানি হচ্ছে তাতে টেবিলওয়্যারের অবদানই প্রায় ৯০ শতাংশ। আর শুধু শাইনপুকুরের অবদান বাংলাদেশ থেকে রফতানীকৃত সিরামিক পণ্যের ২৫ শতাংশের ওপরে। বায়ারদের কনফিডেন্সই আমাদের মূলধন। সেটির ভিত্তিতেই আমরা এখনো টিকে আছি। তৈজসপত্র পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ও আর্থিক শক্তি দিয়েই রফতানি বাজারে টিকে থাকা সম্ভব নয়। গ্লোবাল ক্লায়েন্টদের আস্থা অর্জন করা এবং তা ধরে রাখতে পারাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখতে হবে, সিরামিকস বিশেষ করে টেবিলওয়্যার সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী একটি খাত। এখানে অনেক বেশি সৃজনশীলতার পরিচয় দিতে হয়। অন্যকে কপি করে খুব বেশি দিন ব্যবসা টিকিয়ে রাখা যায় না। যদি বায়ারদের সন্তুষ্টি নিশ্চিত করা না যায় তাহলে একটি কারখানার অনেক উন্নত প্রযুক্তি থাকলেও তারা দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত হতে বাধ্য। কপিরাইট আইনের তোয়াক্কা না করে কপি পেস্ট করে বা অন্য প্রতিষ্ঠানের তৈরি দক্ষ কারিগর ভাগিয়ে নিয়ে দীর্ঘমেয়াদে ক্রেতাদের সন্তুষ্টি অর্জন যেমন কঠিন, তেমনি দীর্ঘমেয়াদে টিকে থাকাও সম্ভব নয়।

টেবিলওয়্যার শিল্পের এবং পণ্য রফতানিতে কোনো প্ৰতিবন্ধকতা আছে কি?

বিভিন্ন কারণে অনিশ্চয়তা বেড়ে গেছে। ক্রেতাদের অনিশ্চয়তা পছন্দ নয়। তারা স্থিতিশীল সরবরাহকারীর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসা পরিচালনা করতে চায়। হঠাৎ করে গ্যাসের মূল্য ১২ টাকা থেকে ৩০ টাকা নির্ধারণ করলে অথবা বিদ্যুতের মূল্য ছয় মাসে তিনবার পরিবর্তন করলে ক্রেতাদের কাছে বারবার মূল্য পরিবর্তন গ্রহণযোগ্য হয় না। এছাড়া গ্যাসের প্রেসার ও সরবরাহে স্থিতিশীলতা এবং বিদ্যুতের ভোল্টেজের ওঠানামা হলে তৈজসপত্রের উৎপাদন কঠিন হয়ে পড়ে এবং প্রক্রিয়াধীন মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে উৎপাদিত পণ্যের গুণাগুণ ব্যাহত হয়। সরবরাহকৃত গ্যাসে যদি ইথেন ও মিথেনের পরিমাণ কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে না থাকে তাহলেও পণ্য উৎপাদনের পরিমাণে ও গুণগত মানে প্রভাব ফেলে। আমরা সিরামিক তৈজসপত্র রফতানিকারকরা সত্যিই খুব সমস্যার মাঝে রয়েছি। গ্যাসের অনিয়মিত সরবরাহ এবং পর্যাপ্ত প্রেসার না থাকায় এবং এর মূল্য নির্ধারণে প্রেডিক্টিবিলিটি এবং কনসিসট্যান্সি না থাকা প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার সমাধান প্রাইভেট সেক্টরের হাতে নেই। দ্বিতীয়ত সিরামিক তৈজসপত্র উৎপাদন আমদানীকৃত কাঁচামালের ওপর নির্ভরশীল। যার ওপর ন্যূনতম করের অভিঘাত ৫ শতাংশ সিডি, ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৩ শতাংশ এটি ও ৫ শতাংশ এআইটিসহ প্রায় ৩০ শতাংশ। আর যখন সিডির হার ২৫ শতাংশ হয় তখন এর অভিঘাত দাঁড়ায় ৫০ শতাংশের ওপর। একই আর্থিক বছরে যদি টাকার অবমূল্যায়ন ২৫ শতাংশের ওপরে হয় তাহলে এ করের পরিমাণও ন্যূনতম ২৫ শতাংশ এবং ক্ষেত্রবিশেষে ৫০ শতাংশ বেড়ে যায়। যা না পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে, না অতিরিক্ত লাভ করে সমন্বয় করা সম্ভব। এ কঠিন সময়েও আমরা টিকে থাকার সংগ্রামে আছি এবং কোম্পানির উৎপাদন চালু রেখেছি।

শাইনপুকুর সিরামিকসের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে বলুন। 

শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেড বেক্সিমকো গ্রুপের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ও শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিধায় আমাদের অভ্যন্তরীণ এবং বাহিরের অংশীজনের বিশেষত সম্মানিত শেয়ারহোল্ডারদের কাছে দায়বদ্ধতা আছে। আমরা জাপানের নিক্কো টেকনোলজি অনুসরণ করি। এ টেকনোলজি কিনতে আমাদের বিনিয়োগ করতে হয়েছিল। আমাদের শ্রমিক কর্মচারীরা দক্ষ, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও বিশ্বস্ত। ২০০৮ সালে অর্থনৈতিক মন্দা, ২০১২ সালের যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক জিএসপি সুবিধা প্রত্যাহার এবং সর্বোপরি ২০২০ ও ২০২১ সালের কভিডের ঋণাত্মক অভিঘাত সাফল্যের সঙ্গে অতিক্রমের মতো আগামী দিনেও সব চ্যালেঞ্জ উতরে উৎপাদন চালু রাখা এবং রফতানি ও অভ্যন্তরীণ বাজারে শাইনপুকুর তার ঊর্ধ্বমুখী পদচিহ্ন বজায় রাখতে সক্ষম হবে, এ দৃঢ় বিশ্বাস আমার আছে। আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে উন্নীত হলে আমাদের ইতিমধ্যে গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আমি হতাশাবাদী নই। সুন্দরতর ভবিষ্যতের আশাবাদী।

আরও