হিলি স্থলবন্দর

সপ্তাহের ব্যবধানে জিরার দাম কেজিতে বেড়েছে ৮০ টাকা

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, হিলি

দিনাজপুরের হিলিতে মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে জিরার দাম বেড়েছে ৮০ টাকা করে। এদিকে আমদানি শুল্ক বাড়ার কারণে আমদানি কমায় দাম বাড়ছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব দোকানেই জিরার যথেষ্ট সরবরাহ আছে। গত সপ্তাহে যে জিরা হাজার ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল বর্তমানে তা হাজার ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আগস্টে ২১টি ট্রাকে ৬০৩ টন জিরা আমদানি হয়েছে। জুলাইয়ে আমদানির পরিমাণ ছিল হাজার ৬৫৩ টন। এছাড়া জানুয়ারিতে ৩৯টি ট্রাকে হাজার ৫৭ টন, ফেব্রুয়ারিতে ৪৬টি ট্রাকে হাজার ২৩৭, মার্চে ১৫৬টি ট্রাকে হাজার ২৭৬, এপ্রিলে ৮৫টি ট্রাকে হাজার ৩৯১, মে মাসে ৬৫টি ট্রাকে হাজার ৮২৯ এবং জুনে ৭৭টি ট্রাকে হাজার ১৯০ টন জিরা আমদানি হয়েছিল।

হিলি বাজারের জিরা বিক্রেতা গোলাম মর্তুজা শিফাত বলেন, ‘জিরার দাম কিছুতেই কমছে না। বেশ কিছুদিন ধরেই মসলাটির বাজার চড়া। গত সপ্তাহ থেকে আবারো দাম বাড়তে শুরু করেছে। আগের কিছু কম দামে কেনা জিরা হাজার ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারছি। তবে এখন আমাদের মোকামেই কিনতে হচ্ছে হাজার ১০০ টাকা দরে। বিক্রি করতে হবে হাজার ১২০ টাকা কেজি দরে। আমদানিকারকরা বলছেন, জিরার আমদানি শুল্ক বাড়ায় দেশের বাজারে দাম বাড়ছে।

হিলি স্থলবন্দরের জিরা আমদানিকারক মনোনীত সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট শেরেগুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে জিরা আমদানিতে পড়তা না থাকায় আমদানিকারকরা ভারত থেকে জিরা আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন। ভারতে জিরার দাম বেশি। জিরা আমদানিতে আগে হাজার ৮০০ ডলার মূল্যে শুল্কায়ন করে শুল্ক আদায় করত কাস্টমস। এতে প্রতি কেজি জিরার শুল্ক বাবদ পরিশোধ করতে হতো ১২০ টাকা। কিন্তু বর্তমানে সাড়ে হাজার ডলার মূল্যে শুল্কায়ন করে শুল্ক আদায় করছে কাস্টমস। ফলে কেজিপ্রতি শুল্ক দিতে হচ্ছে ২২৮ টাকা। বাড়তি শুল্কের কারণে লোকসানের মুখে পড়েছেন আমদানিকারকরা।

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘ বন্দর দিয়ে জিরা আমদানি অনেকটাই কমেছে। আগে গড়ে প্রতিদিন দু-তিন ট্রাক করে জিরা আমদানি হতো। এখন সপ্তাহে চার-পাঁচ ট্রাক আমদানি হচ্ছে। বন্দর দিয়ে আমদানি কমায় সরকারের যেমন রাজস্ব আহরণ কমেছে, তেমনি বন্দর কর্তৃপক্ষের দৈনন্দিন আয়ও কমছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দিনাজপুরের সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম বলেন, ‘কেউ যেন অহেতুক কোনো পণ্যের দাম বাড়াতে না পারে, সেজন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজারগুলোয় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন