থাইল্যান্ডের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ সামরিক সমর্থিত দলগুলোর প্রস্তাবিত জোট সরকারের বিপক্ষে। এমন খবর এসেছে সাম্প্রতিক পরিচালিত এক জরিপ থেকে। খবর দ্য গার্ডিয়ান।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জরিপটি পরিচালনা করে। জরিপে ১ হাজার ৩১০ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে প্রায় ৬৪ শতাংশ ফেউ থাই পার্টির সামরিক সমর্থিত প্রতিদ্বন্দ্বীদের একটি বিশেষ সরকার গঠনের মতের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন। তিন মাসের রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের লক্ষ্যে পার্লামেন্টে গুরুত্বপূর্ণ ভোটের মাত্র কয়েকদিন আগে এমন তথ্য উঠে এল।
মে মাসের নির্বাচনে বিজয়ী মুভ ফরওয়ার্ড পার্টি সরকার গঠনে অক্ষম হওয়ার কারণে থাইল্যান্ড তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে রয়েছে। রাজকীয় সামরিক বাহিনীর সঙ্গে জোটবদ্ধ রক্ষণশীল আইনপ্রণেতারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করেছেন। স্ব-ইচ্ছায় নির্বাসিত বিলিয়নেয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার পরিবারের নেতৃত্বাধীন ফেউ থাই পার্টি সরকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে।
ফেউ থাই পার্টি রিয়েল এস্টেট ম্যাগনেট স্রেথা থাভিসিনকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করার পরিকল্পনা করছে।
যার জন্য সামরিক-নিযুক্ত সিনেটসহ দ্বিকক্ষীয় আইনসভার অর্ধেকেরও বেশি সমর্থন প্রয়োজন। এদিকে বিচারাধীন কারাদণ্ড থাকা সত্ত্বেও থাকসিন সিনাওয়াত্রার থাইল্যান্ডে প্রত্যাবর্তন প্রত্যাশিত বলে জানিয়েছেন তার মেয়ে পেটংটার্ন সিনাওয়াত্রা। ফেউ থাই পার্টি এর আগে ২০০৬ ও ২০১৪ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মুখোমুখি হয়েছিল।
জরিপে আরো জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে পেটংটার্ন ৩৮ দশমিক ৬ শতাংশ সমর্থন পেয়েছে। তার পরেই ৩৬ দশমিক ৬ শতাংশ সমর্থন নিয়ে অবস্থান করছে শ্রেষ্ঠা। উল্লেখ্য, ফেউ থাই পার্টি সম্প্রতি সামরিক সমর্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী ইউনাইটেড থাই নেশন পার্টির সমর্থন পেয়েছে।