
জাতীয়
সংসদে উত্থাপিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধনী বিল পাশ হলে তা নির্বাচন
কমিশনের (ইসি) ক্ষমতাকে আরো খর্ব করবে বলে উদ্বেগ
প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আজ শুক্রবার (৯ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগের কথা জানায় টিআইবি।
টিআইবি
বলছে,
বিদ্যমান আইনে নির্বাচন কমিশনের কাছে যৌক্তিক বিবেচিত হলে যেকোনো নির্বাচন
বাতিলের যে ক্ষমতা রয়েছে, প্রস্তাবিত
সংশোধনী পাশ করা হলে তা কেড়ে নেয়া হবে। প্রস্তাবিত সংশোধনীতে কমিশনকে শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের ভোট বাতিল করার ক্ষমতা
দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মাধ্যমে কমিশনের ক্ষমতা সীমিত করা হয়েছে।
বিষয়টিকে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা উল্লেখ করে
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গত বছর অক্টোবরে সিসিটিভি ক্যামেরায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ
করে অনিয়মের প্রমাণ পেয়ে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছিল কমিশন।
কমিশনের এ পদক্ষেপ ক্ষমতাসীন দলের দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে বলে পর্যবেক্ষকদের অনেকের মধ্যে যে ধারণা সৃষ্টি হয়েছিল, এ সংশোধনী তার যথার্থতা প্রতীয়মান করে। সংশোধনীতে
প্রস্তাবিত ‘ইলেকশন’ এর স্থলে ‘পোলিং’ শুধু শব্দগত পরিবর্তন নয়, এর ব্যাপকতা আরো অনেক বেশি। এই বিল পাশের মাধ্যমে কমিশনের ক্ষমতা
খর্ব করা হলে তা দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের সম্ভাবনা সম্পর্কে
আস্থাহীনতার সংকটকে আরো ঘনীভূত করবে।
উল্লিখিত
সংশোধনী প্রস্তাবটি বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি। পাশাপাশি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও
নিরপেক্ষ নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার চর্চার স্বার্থে নির্বাচনকালীন সরকার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের
নিরপেক্ষ ও স্বার্থের দ্বন্দমুক্ত ভূমিকা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইনি ও
প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানায় তারা।