বেহাল ১৯০ কোটি টাকার সড়ক, সংস্কার বন্ধ রাখলেন ক্ষুব্ধ মেয়র

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া

ছবি: বণিক বার্তা

কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের সংস্কার কাজ নিয়ে অসন্তোষ পুরোনো। এই নিয়ে ক্ষুব্ধ পৌরসভা মেয়র সামছুজ্জামান অরুণও, বন্ধ করে দিলেন চলমান সংস্কার কাজ।

মহাসড়কের কুমারখালী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন গোলচত্বর এলাকার গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সকালে পরিদর্শনে যান অরুণ। তখন সংস্কার কাজ বন্ধ করে দেন।

কয়েক বছর আগে পুনর্নিমাণ ও সংস্কার হয় মহাসড়কের কুষ্টিয়া থেকে খোকসা পর্যন্ত ২৮ কিমি সড়ক। এর আওতায় ১৮ ফুট প্রশস্ত সড়কটি দুই পাশে আরও ৩ ফুট করে ৬ ফুট প্রশস্ত করার পাশাপাশি মাঝের ১৮ ফুট শুধু উপরের অংশ সিলকোট করা হয়।

২০১৮ সালের মার্চে শুরু হয়ে কাজ শেষ হয় ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে। খরচ হয় ১৯০ কোটি টাকা। সংস্কারের দায়িত্ব পায় মেহেরপুর জেলার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জহুরুল ইসলাম কনস্ট্রাকশন।

নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার ৬ মাসের মধ্যেই সড়কের কিছু অংশ ডেবে যায়। কোথাও সড়কের মাঝে, কোথাও সড়কের পাশে সরু খাল ও গর্ত সৃষ্টি হয়। ডেবে যাওয়া অংশে ২০২০ সালের জুনে প্রথমবার সংস্কার কাজ শেষ করে ঠিকাদার। ঠিক পরের বছরের শুরুতে আবার কিছু অংশ ডেবে যায়। ২০২১ সালে জুনে ওই অংশ সংস্কার করা হয়।

এভাবে ২০২২ সালে কয়েকবার নতুন ডেবে যাওয়া অংশ এবং সরু খাল ও গর্ত সৃষ্টি হলে তা সংস্কার করা হয়। সর্বশেষ ৪ মে সংস্কার কাজ করা হয়। কিন্তু এক মাসের মধ্যে একই অংশ ছাড়াও নতুন কিছু অংশ ডেবে গেছে।

এ অবস্থায় ক্ষুব্ধ কুমারখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র সামছুজ্জামান অরুণ। গতকাল কুমারখালী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন গোলচত্বর এলাকায় গিয়ে সংস্কার কাজ বন্ধ করে দেন তিনি।

মেয়র বলেন, বার বার একই জায়গায় সড়ক ডেবে যাচ্ছে, আর সড়ক বিভাগ সংস্কার করছে। এতে সরকারি অর্থ অপচয় হচ্ছে। একই সঙ্গে বার বার জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এটা চলতে পারে না।

সংস্কার কাজটিও খুবই যেনতেনভাবে চলছিল বলে অভিযোগ অরুণের। স্থায়ী সমাধানের জন্য কাজ বন্ধ করে দিয়েছি বলে উল্লেখ করেন তিনি।

কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সেলিম আজাদ খান জানান, ডেবে যাওয়া অংশে সংস্কার কাজ শুরু করেছিলেন। এখন কুমারখালী অংশে কাজ বন্ধ থাকলেও পার্শ্ববর্তী খোকসা উপজেলায় সংস্কার চালু রয়েছে। মেয়রের সঙ্গে সমন্বয়ের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জহরুল কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক আবুল হাশেম এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন