রেকর্ড অনুমতির বছরে এভারেস্টে একের পর এক মৃত্যু

বণিক বার্তা অনলাইন

ছবি: এপি

গত বসন্তে শুরু হওয়া পর্বতারোহণ মৌসুম থেকে এভারেস্টে এ পর্যন্ত ১২টি মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এছাড়া পাঁচ পর্বতারোহী নিখোঁজ রয়েছেন। এই সব ঘটনায় অনেকে রেকর্ড অনুমতিকে দায়ী করছেন। খবর বিবিসি।

এর আগে ২০১৯ সালে ১১ জন পর্বতারোহী মারা যান। এবার তিনজন শেরপাও প্রাণ হারিয়েছেন। তারা বরফে চাপা পড়ে বা অসুস্থতায় মারা গেছেন।

নেপালে রেকর্ড সংখ্যক ক্লাইম্বিং পারমিট ইস্যু ছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবও গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে।

নেপালের জনপ্রিয় জাম্প-অফ পয়েন্ট থেকে উঠার জন্য এবার অভূতপূর্বভাবে ৮০০টি পারমিট দেয়া হয়েছে। মহামারী পরবর্তী বর্ধিত চাহিদা এর জন্য দায়ী।

যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ম্যাডিসন মাউন্টেনিয়ারিং কোম্পানির গ্যারেট ম্যাডিসন রয়টার্সকে বলেছেন, অনেক লোকের কারণে আরোহণের পথে ট্র্যাফিক জ্যাম তৈরি হয়েছে।

এভারেস্ট অভিযান নেপালের আয়ের একটি প্রধান উৎস। অনুমতির জন্য পর্বতারোহীদের দিতে হয় ১১ হাজার ডলার। পশ্চিমা পর্বতারোহীরা এর সমালোচনা করেন প্রায়শ। শেরপাদের মতে, পারমিট ফি, গ্যাস, খাবার, গাইড ও স্থানীয় ভ্রমণসহ প্রতি পর্বতারোহীকে কমপক্ষে ২৬ হাজার ৭০০ ডলার খরচ করতে হয়।

পারমিটের সংখ্যার সমালোচনার জবাবে নেপালের পর্যটন বিভাগের পরিচালক যুবরাজ খাতিওয়াদা জানান, যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছেন তারা। সারা মৌসুমের অভিযান তদারকি করার জন্য প্রথমবারের মতো এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে অবস্থান করছে চিকিৎসক ও সরকারী কর্মকর্তাদের একটি দল।

অবশ্য এই বছর তুষারপাতের কারণে কোনো মৃত্যু হয়নি। হিমালয়ান ডেটাবেস অনুসারে সাম্প্রতিক বছরে এটি প্রায় ৪০ শতাংশ মৃত্যুর জন্য দায়ী। এর আগে ২০১৪ সালে এক তুষারধসেই ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। যা আধুনিক ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়।

এছাড়া পর্বতারোহীদের উষ্ণ তাপমাত্রার সঙ্গেও লড়াই করতে হচ্ছে। একই কারণে হিমবাহ গলেছে ও হ্রদ তৈরি করেছে। বিজ্ঞানীরা জানান, এই অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত তিব্বত মালভূমিতে তাপমাত্রা ১৯৭৯ থেকে ৪০ বছরে প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন