বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা মানহানির দুই মামলায় অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি পিছিয়ে ২৭ জুন ধার্য করেছেন আদালত। সময় চেয়ে আসামিপক্ষের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নুর নতুন দিন ধার্য করেন।
মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুয়া জন্মদিন উদযাপন ও যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেয়ার অভিযোগে করা দুই মামলায় গতকাল আসামিকে আদালতে হাজির করার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু অসুস্থ খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন থাকায় তার পক্ষে সময় প্রার্থনা করেন আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার। পরে সময় মঞ্জুর করে শুনানির নতুন দিন ধার্য করেন আদালত।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিন নিয়ে ১৯৯৭ সালে দুটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। তাতে উল্লেখ করা হয়, এসএসসি পরীক্ষার মার্কশিট অনুযায়ী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর জন্মতারিখ ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একটি দৈনিকে তার জীবনী নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জন্মদিন উল্লেখ করা হয় ১৯৪৫ সালের ১৯ আগস্ট। এছাড়া তার বিয়ের কাবিননামায় ১৯৪৪ সালের ৪ আগস্ট জন্মদিন উল্লেখ রয়েছে। সর্বশেষ ২০০১ সালে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট অনুযায়ী, তার জন্মদিন ১৯৪৬ সালের ৫ আগস্ট।
অভিযোগে আরো বলা হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে তার পাঁচটি জন্মদিন পাওয়া গেলেও কোথাও ১৫ আগস্ট জন্মদিন পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় তিনি পাঁচটি জন্মদিনের একটিও পালন না করে ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর দিন জাতীয় শোক দিবসে আনন্দ-উৎসব করে জন্মদিন উদযাপন করে আসছেন।
এছাড়া চিহ্নিত স্বাধীনতাবিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকার মানহানি ঘটানোর অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে একই বছরের ৩ নভেম্বর জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী মামলা করেন। আদালত ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তেজগাঁও থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। পরের বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি তেজগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মশিউর রহমান অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদন দেন। মামলার অন্য আসামি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মৃত হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
