আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের কনভার্টিবল বন্ড

সাবস্ক্রিপশনে ৬ মাস সময় বাড়াল বিএসইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩০০ কোটি টাকার কনভার্টিবল বন্ডে সাবস্ক্রিপশনের জন্য গত ২৫ মে পর্যন্ত সময় নির্ধারিত ছিল। তবে আলোচ্য সময়ের মধ্যে এ বন্ডে কাঙ্ক্ষিত সাবস্ক্রিপশন জমা না হওয়ায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কাছে সময় বাড়ানোর আবেদন জানায় বস্ত্র খাতের কোম্পানিটি। এর পরিপেক্ষিতে সাবস্ক্রিপশনের জন্য আগামী ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত অর্থাৎ ছয় মাস সময় বাড়িয়েছে বিএসইসি। ডিএসইর মাধ্যমে গতকাল এ তথ্য জানিয়েছে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ। 

গত বছরের ২৩ মে বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংস্থাটির ৮২৪তম কমিশন সভায় কোম্পানিটির এ বন্ডের অনুমোদন দেয়া হয়।  সভা শেষে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ৩০০ কোটি টাকার এ বন্ডের বৈশিষ্ট্য হবে আনসিকিউরড, ফ্লোটিং রেট ও কনভার্টিবল। এ বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য হবে ১ লাখ টাকা। ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, করপোরেট ও উচ্চসম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীদের অনুকূলে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বন্ডটি ইস্যু করা হবে। এ বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ দিয়ে তালিকাভুক্ত একটি কোম্পানির অংশীদারত্ব গ্রহণ, কোম্পানির ব্যাংক দায় পরিশোধ, কোম্পানির জন্য যন্ত্রপাতি ক্রয়, কার্যকরী মূলধনের জোগান ও বন্ড ইস্যু-সংক্রান্ত যবতীয় ব্যয় বহন করবে কোম্পানিটি।

বন্ডটির ট্রাস্টি ও ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে যথাক্রমে বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ও বেঙ্গল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। শর্ত অনুযায়ী বন্ডটি এটিবিতে তালিকাভুক্ত হবে। 

এর আগে ২০২১ সালের অক্টোবরে সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলসকে অধিগ্রহণে আলিফ গ্রুপকে অনুমোদন দেয় বিএসইসি। কমিশনের কাছে দেয়া আলিফ গ্রুপের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে শর্তসাপেক্ষে এ অনুমোদন দেয়া হয়। এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে আলিফ গ্রুপকে নতুন শেয়ার ইস্যু ও বন্ডের মাধ্যমে মূলধন বাড়ানোর ক্ষেত্রে সব সিকিউরিটিজ আইন পরিপালন ও সংশ্লিষ্ট আইনের বিধিবিধান পরিপালন সাপেক্ষে প্রস্তাবিত অধিগ্রহণ কার্যক্রম নিষ্পত্তি করা এবং সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলের উৎপাদন চালু করতে গ্যাস লাইনসহ অন্যান্য সেবাসংক্রান্ত সমস্যা নিরসন করতে হবে। একই সঙ্গে সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলসের ব্যাংকে থাকা দায় আলিফ গ্রুপকে পরিশোধ করতে হবে। এছাড়া আলিফ গ্রুপের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ ও আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডকে সিকিউরিটিজ আইন মেনে ঝুলে থাকা সব এজিএম সম্পন্ন ও আর্থিক প্রতিবেদন নিয়মিত জমা দিতে হবে। শেয়ার মানি ডিপোজিট বা সংগৃহীত অর্থ আলাদা ব্যাংক হিসাবে রাখতে হবে, যা দিয়ে শুধু ব্যাংকের দায় মেটানো ও উৎপাদন চালুর কাজে ব্যবহার করা যাবে। সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলসের উৎপাদন শুরু করতে আলিফ গ্রুপ সব ধরনের উদ্যোগ ও দায় গ্রহণ করবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন