প্লাস্টিক দূষণ রোধে ‘সার্কুলার ইকোনমি’ চালু করতে যাচ্ছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্লাস্টিক দূষণ রোধে সার্কুলার ইকোনমি পদ্ধতি এবং   উৎপাদনকারীর সম্প্রসারিত দায়িত্ব (ইপিআর) বাস্তবায়নে উদ্যোগ  নিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) পরিবেশ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত 'এডোপ্টিং সার্কুলার ইকোনমি ফর সাসটেইনেবল প্লাস্টিক ম্যানেজমেন্ট ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য জানান পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

প্রসঙ্গত, সার্কুলার ইকোনোমি এমন এক অর্থনৈতিক মডেল যেখানে সম্পদের চক্রাকারে ব্যবহার হয়ে থাকে। প্লাস্টিকের চক্রাকার ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে তা পরিবেশের জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে বলে মনে করেন পরিবেশবীদরা।

প্লাস্টিক দূষণরোধে বিজনেস মডেল প্রণয়ন করার চেষ্টা চলমান রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্লাস্টিক ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত মাল্টিসেকটোরাল একশন প্লানে চারটি টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ৯০ শতাংশ সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যান্য টার্গেটসমূহ পর্যায়ক্রমে ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।

ভোক্তাদের আচরণগত পরিবর্তন বিষয়ে একটি পৃথক স্টাডি করা হচ্ছে উল্লেখ করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী বলেন, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা অনুযায়ী গঠিত জাতীয় কমিটি প্লাস্টিক দূষণ রোধসহ কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মপরিকল্পনা ও বার্ষিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করবে।

পাশাপাশি বিধিমালা অনুযায়ী পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের জন্য প্রতি বছর প্রশংসনীয় কাজের স্বীকৃতি প্রদান করা হবে। যা বাস্তবায়িত হলে কঠিন বর্জ্যসহ প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে। পাশাপাশি প্লাস্টিক দূষণ রোধে সমন্বিত উদ্যোগ অপরিহার্য বলে মনে করেন তিনি।

'সবাই মিলে করি পণ, বন্ধ হবে প্লাস্টিক দূষণ শ্লোগানে বিশ্ব পরিবেশ দিবসের এই সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি এক্সচেঞ্জ এর চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ এবং জিআইজেড ইন্ডিয়ার ওয়েস্ট কনসালটেন্ট কার্তিক কাপুর।

অনুষ্ঠানে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ইউনিডোর বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপ্রেজেনটিটিভ ড. জাকিউজজামান এবং ইউনিডোর রিজিওনাল প্রধান ড. রেনে ভেন বারকেল।

সেমিনারে সরকারি বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, প্লাস্টিক সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্রান্ডের প্রতিনিধি এবং উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন