সেনাবাহিনীর প্রচারণামূলক সিনেমার পোস্টারের সামনে লিলি নাইং কিয়াও। ছবি: বিবিসি মিয়ানমারে ইয়াঙ্গুনের একটি হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন গায়িকা লিলি নাইং কিয়াও মারা গেছেন। সপ্তাহ খানেক আগে মাথায় গুলিবিদ্ধ
হন তিনি। ক্ষমতাসীন জান্তা সরকারের সঙ্গে সখ্যের কারণে তিনি আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারণা
করা হচ্ছে। খবর বিবিসি।
গত মঙ্গলবার (৬ জুন) লিলিকে মৃত ঘোষণা
করা হয়। এ ঘটনাকে দেশটির সরকার সমর্থন সেলিব্রিটিদের জন্য আশঙ্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
২০২১ সালে নির্বাচিত সরকারকে অভ্যুত্থানের
মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। এরপর থেকে অং সান সু চিসহ শীর্ষ
সব নেতাই বন্দিজীবন কাটাচ্ছেন। এ ঘটনায় সৃষ্ট বিক্ষোভে হাজার হাজার মানুষ হতাহত হয়েছেন।
৫৮ বছর বয়সী লিলি শীর্ষ জান্তা নেতাদের
ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তাকে প্রায়ই তাদের সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করা হতো। এ গায়িকাকে হত্যার
অভিযোগে এরই মধ্যে দুজনকে আটক করা হয়েছে।
আটকরা সেনাবাহিনী বিরোধী একটি শহুরে সশস্ত্র
গ্রুপের কর্মী বলে জানা গেছে। তারা গুলির স্বীকারোক্তি দিয়েছে বলেও জানানো হয়। গ্রেফতারের
কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাদের একজনের দুই আত্মীয়কে হত্যা করা হয়েছে।
হাই-প্রোফাইল সরকার সমর্থকদের ধারাবাহিক
হত্যাকাণ্ডের সর্বশেষ ঘটনা লিলি নাইং কিয়াও। তার ওপর হামলার চার দিন আগে দেশটির প্রধান
শহর ইয়াঙ্গুনে একটি চায়ের দোকানে অতিপরিচিত জাতীয়তাবাদী নেতা ও সামরিক সমর্থক টিন্ট
লুইনকে মাথায় গুলি করা হয়। গত গ্রীষ্মে আরেক হামলায় বেঁচে যাওয়ার পর আত্মগোপনে চলে
যান তিনি।
গত ৩০ মে সন্ধ্যায় ইয়াঙ্গুনে বাড়ির বাইরে
গাড়ি পার্ক করার গুলির শিকার হন লিলি। প্রথমে তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। পরে জানা
যায়, তিনি কোমায় রয়েছেন।
সরকারি বিবৃতিতে এ ঘটনাকে ‘নিরপরাধ নারীর
ওপর অমানবিক হামলা’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। ১৭টি জান্তাপন্থী
সংগঠন এই ঘটনার নিন্দা জানায়।
লিলি নাইং কিয়াও-এর জন্ম একটি সামরিক
পরিবারে। প্রায়শই সেনাবাহিনীর ইভেন্টে তাকে দেখা যেতো। তার একটি গান নববর্ষের পানি
উৎসবে অনানুষ্ঠানিক থিম সং হিসেবে গাওয়া হয়।
