বিআইডিএসের সেমিনারে বক্তারা

করোনার অভিজ্ঞতা থেকে ভবিষ্যতে শিক্ষা নিতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা চলে গেছে। সামনে অন্য ধরনের মহামারীও আসতে পারে। এ কারণে করোনার অভিজ্ঞতা নিয়ে ভবিষ্যতে শিক্ষা নিতে হবে। গতকাল রাজধানীতে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) আয়োজিত ‘মহামারীর অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ; কভিড-১৯-এর অভিজ্ঞতা’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। 

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আহমেদ মুশফিক মোবারক। তিনি বলেন, ‘‌নিম্নমধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্যগত ক্ষতি হিসেবে বিবেচনা করা হলেও মূলত অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে বেশি। বিশ্ব অর্থনীতিতে করোনা মারাত্মকভাবে ধাক্কা দিয়েছে। এটা শুধু আমাদের অর্থনীতিকেই ধাক্কা দেয়নি, বরং সক্ষমতাও কমিয়ে দিয়েছে। সেটা বৈশ্বিক তথ্য দেখলেই বোঝা যায়। করোনার সময় দেখা গেছে, কারো মহামারী নিয়ে অভিজ্ঞতা ছিল না। যখন লকডাউন দেয়া হয় তখন মানুষ কাজে যেতে পারেনি। করোনার সংকট নিয়ে শুধু সরকারের জানাশোনাই কম ছিল না। এ সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও ঠিকমতো তথ্য সরবরাহ করতে পারেনি। এটা বিস্ময়কর ছিল। সে সময় সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে বেশকিছু বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেয়া হয়েছিল।’ 

বিআইডিএস মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন বলেন, ‘‌আফ্রিকা মহাদেশের কিছু স্থানে তিন বছরেও এখনো ভ্যাকসিনের ছোঁয়া লাগেনি। এ কারণে নয় যে তাদের টাকা নেই। বরং দুর্গম এলাকা হওয়ার কারণে সেখানে ভ্যাকসিন পৌঁছেনি। এ কারণে দুর্গম এলাকাগুলোর মানুষের কাছে যেতে হবে। ভ্যাকসিন নিয়ে যেহেতু আমাদের অভিজ্ঞতা ছিল। এ কারণে আমাদের দেশে ভ্যাকসিন দ্রুত দেয়া গেছে। ভ্যাকসিন জাতীয়তা একটি সমস্যা। এটা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। ভ্যাকসিন কূটনীতিও রয়েছে। আমরা আশা করেছিলাম করোনা-পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্য খাত পরিবর্তন হয়ে যাবে। যেমনটা আমরা আশা করেছিলাম সেটা হয়নি। করোনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে নীতি প্রণয়নে আমাদের চিন্তা করতে হবে।’ 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন