ফায়ার সার্ভিসের অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে আলোচনা করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে চলমান গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে হলে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, ‘‌জনগণের ক্ষমতা অব্যাহত রাখতে হলে সবার সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। তাই আলোচনার বিকল্প কিছু নেই।’

গতকাল ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের সদর দপ্তরে ‘‌স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৩ উদযাপন’ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। 

আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘‌একটি দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে হলে সেখানে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে, বসতে হবে। তাদের পরামর্শ শুনতে হবে।’

বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতি চেয়ে জামায়াতে ইসলামী যে আবেদন করেছে, সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যারা রাজনীতি করেন রাজনৈতিক অধিকার, সভা-সমাবেশ করবে, তারা তাদের মতামত প্রদর্শন করবে, জানাবে এটাই তো স্বাভাবিক। জামায়াত ইসলামী এখনো নির্বাচন কমিশনের স্বীকৃত দল নয়। তাদের আবেদনের বিষয়ে ঢাকার পুলিশ কমিশনার সিদ্ধান্ত নেবেন। এখানে সমাবেশ করতে দিলে কোনো নাশকতা বা বিশৃঙ্খলার সম্ভাবনা রযেছে কিনা সেটি বিবেচনা করে কমিশনার সিদ্ধান্ত দেবেন।’

অবশ্য আলোচনায় বসার কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি বলে সকালে এক অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত তাদের দল নেয়নি উল্লেখ করেন তিনি।

‘প্রয়োজনে আগের মতো জাতিসংঘের প্রতিনিধির মধ্যস্থতায় সংলাপ হতে পারে’—আমির হোসেন আমু এমন বক্তব্য দিলেও কাদের বলেন, ‘জাতিসংঘের মধ্যস্থতার দরকার হবে এমন কোনো রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে বাংলাদেশ পড়েনি।’ 

কিন্তু একই দিনে সংলাপ নিয়ে ইতিবাচক সুরে কথা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, ‘‌আওয়ামী লীগ একটি পপুলার পার্টি। আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় রয়েছে। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণের ক্ষমতায় চলতে হবে।’

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে রাষ্ট্রদূতদের আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান, আগামী নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র আছে কিনা। জবাবে তিনি বলেন, ‘‌এটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ। তারা যেটা বলেছে সেটাই যথেষ্ট। তারাই মনিটরিং করছেন। আমরা এটুকু মনে করি, রাষ্ট্রদূতরা যাতে তাদের শিষ্টাচার মেনে, তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন। এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’

ফায়ার সার্ভিসের অবদান তুলে ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‌অপারেশনাল কাজে আত্মাহুতি প্রদান, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন এবং যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে জনগণকে তাৎক্ষণিক সেবা প্রদান করায় এ বাহিনী জনগণের আস্থার একটি জায়গায় পরিণত হয়েছে।’ 

অনুষ্ঠানের সভাপতি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তার সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি সরকার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইতিবাচক মনোভাব কাজে লাগিয়ে এ প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করার এবং আরো নিষ্ঠা ও আন্তরিকভাবে অপারেশনাল কাজ পরিচালনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। 


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন