ভারতের পাম অয়েল আমদানি ২৭ মাসের সর্বনিম্নে

বণিক বার্তা ডেস্ক

ভারতের পাম অয়েল আমদানি মে মাসে কমে ২৭ বছরের সর্বনিম্নে। আমদানিকারকরা ব্যয়বহুল পাম অয়েল কার্গোর ক্রয়াদেশ বাতিল করে দিচ্ছেন। বিপরীতে সস্তা সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেল আমদানি বাড়াচ্ছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এসব তথ্য জানিয়েছেন ডিলার ও ব্যবসায়ীরা। 

ভারত গত মাসে ৪ লাখ ৪১ হাজার টন পাম অয়েল আমদানি করেছে। এপ্রিলে আমদানির পরিমাণ ছিল ৫ লাখ ১০ হাজার টন। সে হিসাবে আমদানি ১৪ শতাংশ কমেছে, যা ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির পর সর্বনিম্ন।

ভারত বিশ্বের শীর্ষ পাম অয়েল আমদানিকারক। দেশটির আমদানি কমে যাওয়ায় পণ্যটির দামে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এরই মধ্যে পাম অয়েলের বৈশ্বিক দাম ৩০ মাসের সর্বনিম্নে।

ভারত মূলত শীর্ষ উৎপাদক মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া থেকে পাম অয়েল আমদানি করে। থাইল্যান্ড থেকেও কিছু তেল আসে। অন্যদিকে সয়াবিন তেল আমদানি করা হয় আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল থেকে। সূর্যমুখী তেল আসে ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে। 

নিম্নমুখী দাম ও দ্রুত জাহাজীকরণ প্রক্রিয়ার কারণে এশিয়ার মূল্যসংবেদনশীল ক্রেতারা সাধারণত পাম অয়েলের ওপর বেশি নির্ভরশীল। তবে কয়েক মাস ধরে অন্যান্য তেলের তুলনায় পাম অয়েল বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এ কারণেই ক্রেতারা সস্তা দামের তেলের প্রতি ঝুঁকছেন বলে মনে করছেন সানবিন গ্রুপের সিইও সন্দিপ বাজোরিয়া।

এপ্রিলে মে মাসের জাহাজীকরণের জন্য পাম অয়েলের বিপুলসংখ্যক ক্রয়াদেশ বাতিল করে দিয়েছেন। কয়েক বছরের মধ্যে এ ঘটনা এবারই প্রথম ঘটল।

সলভেন্ট এক্সট্রাক্সরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার হিসাব অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ভারত ৮ লাখ ১৮ হাজার ২০৩ টন পাম অয়েল আমদানি করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আমদানি ৫২ শতাংশ বেড়েছে।

মে মাসে ভারতে সূর্যমুখী তেল আমদানি আগের মাসের তুলনায় ২৮ শতাংশ বেড়েছে। আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১৯ হাজার টনে। সয়াবিন আমদানি বেড়েছে ২ লাখ ৯০ হাজার টন, যা আগের মাসের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি।

জিজিএন রিসার্চের ম্যানেজিং পার্টনার রাজেশ প্যাটেল বলেন, ‘‌কয়েক মাস ধরেই বাজার হিস্যা হারাচ্ছে পাম অয়েল। প্রতিযোগিতামূলক দাম পেলে হিস্যা ফেরানো সম্ভব নয়।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন