বৈশ্বিক গম রফতানির ২০% পূরণ করছে রাশিয়া

বণিক বার্তা ডেস্ক

ইউক্রেন যুদ্ধের পর কৃষিপণ্য রফতানি খাতকে নতুন করে সাজিয়েছে রাশিয়া। যেসব দেশ পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় সায় দেয়নি, সেসব দেশেই মূলত রফতানির পাল্লা ভারী করেছে দেশটি। বর্তমানে এসব দেশে রফতানি হিস্যা দাঁড়িয়েছে ৮৭ শতাংশে। বৈশ্বিক গম রফতানির ২০ শতাংশই পূরণ করছে রাশিয়া। দেশটির কৃষিমন্ত্রী দিমিট্রি প্যাট্রুশেভ সম্প্রতি এমনটা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘‌চীন, তুরস্ক, বাংলাদেশ, আলজেরিয়া ও পাকিস্তানে রফতানি লক্ষণীয় মাত্রায় বেড়েছে। রাশিয়ার উৎপাদকরা নির্ভরযোগ্য ও দায়িত্বশীল বিদেশী অংশীদারদের সঙ্গে মজবুত সম্পর্ক গড়ে তুলছে।’

রাশিয়া গত বছর নিট কৃষিপণ্য রফতানিকারকের তকমা পুনরুদ্ধার করে নেয়। ওই সময় অর্থমূল্যের হিসাবে রফতানি করা হয় ৪ হাজার ১৬০ কোটি ডলারের কৃষিপণ্য। আমদানির পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৫৭০ কোটি ডলার। মন্ত্রী বলেন, ‘‌বিশ্বের প্রতি পাঁচ ব্যাচ গমের এক ব্যাচই রফতানি করছে রাশিয়া।’

তিনি আরো জানান, গত বছর রাশিয়া ২০ লাখ টনের বেশি মাছ রফতানি করেছে। আমিষজাতীয় পণ্য রফতানি করেছে ৭ লাখ ৩০ হাজার টন। এছাড়া উন্নতমানের পণ্য রফতানির প্রবৃদ্ধিও ক্রমবর্ধমান।

রাশিয়া প্রতি বছর ১৩ কোটি টন খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে। পাশাপাশি ৫ কোটি ৫০ লাখ টন রফতানির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে দেশটির। রাশিয়ার উপকৃষি মন্ত্রী ওকসানা লুট এমনটা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘‌ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে অনেক দেশ রাশিয়া থেকে খাদ্যশস্য কিনতে অস্বীকৃতি জানালেও দেশটি খুব ভালোভাবেই রফতানিতে প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। ক্রেতা দেশের সংখ্যা কমে গেলেও বিক্রির পরিমাণ বাড়াতে সক্ষম হয়েছি আমরা। আমরা এখন বেশি দেশে রফতানি বাড়ানোর চেষ্টা করছি না বরং শক্তিশালী অংশীদারত্ব তৈরির প্রয়াস চালাচ্ছি।

রাশিয়ার খাদ্যশস্য রফতানি ইউনিয়নের প্রধান এডুয়ার্ড জেরনিন বলেন, ‘‌রাশিয়া বর্তমানে দেশটিতে উৎপাদিত খাদ্যশস্যের ৮০ শতাংশই মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় বিক্রি করছে। তুরস্ক, মিসর, ইরান, সৌদি আরব ও আলজেরিয়া দেশটির শীর্ষ পাঁচ ক্রেতা দেশ।’

কৃষিমন্ত্রী দিমিত্রি প্যাট্রুশেভ বলেন, ‘‌চলতি বছর খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১২ কোটি ৩০ লাখ টনে। এ সময় মোট রফতানির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে পাঁচ কোটি থেকে সাড়ে পাঁচ কোটি টনে।

চলতি সপ্তাহে কৃষ্ণ সাগরীয় খাদ্যশস্য রফতানি চুক্তি আরো দুই মাসের জন্য সম্প্রসারণ করা হয়েছে। তবে এ চুক্তি আরো জোরদার করার ক্ষেত্রে রাশিয়া শর্ত বেঁধে দিয়েছে। দেশটির দাবি, খাদ্যশস্য রফতানিতে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে যে প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হচ্ছে, তা উঠিয়ে নিতে হবে। তবেই চুক্তি যথাযথভাবে সম্প্রসারণে রাজি হবে দেশটি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন