
দেশে চলমান গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে হলে সব রাজনৈতিক
দলের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
বুধবার (৭ জুন) ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের সদরদপ্তরে 'স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৩ উদযাপন'
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
আলোচনার কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বলেন, জনগণের ক্ষমতা অব্যাহত রাখতে হলে সবার সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। তাই আলোচনার বিকল্প
নাই।
অবশ্য আলোচনায় বসার কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি বলে সকালে
এক অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
ওবায়দুল কাদের।
প্রয়োজনে আগের মত জাতিসংঘের প্রতিনিধির মধ্যস্থতায় সংলাপ
হতে পারে বলে আমু যে বক্তব্য আগের দিন দিয়েছেন, তার উল্টো কথা জানিয়ে কাদের বলেন, জাতিসংঘের
মধ্যস্থতার দরকার হবে– এমন কোনো রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে বাংলাদেশ পড়েনি।’
একই দিনে সংলাপ নিয়ে ইতিবাচক সুরে কথা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটি পপুলার পার্টি। আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন
ক্ষমতায় রয়েছে। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণের ক্ষমতায় চলতে হবে।
এদিকে বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতি চেয়ে জামায়াতে ইসলামী যে
আবেদন করেছে, সে বিষয়ে এক প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা রাজনীতি করেন রাজনৈতিক
অধিকার, সভা-সমাবেশ করবে, তারা তাদের মতামত প্রদর্শন করবে, জানাবে এটাই তো স্বাভাবিক।
জামায়াত এখনো নির্বাচন কমিশনের স্বীকৃত দল নয়। তাদের আবেদনের বিষয়ে ঢাকার পুলিশ কমিশনার
সিদ্ধান্ত নেবেন। এখানে সমাবেশ করতে দিলে কোনো নাশকতা বা বিশৃঙ্খলার সম্ভাবনা রযেছে
কি না সেটি বিবেচনা করে কমিশনার সিদ্ধান্ত দেবেন।
আগামী নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র বা পরিকল্পনা আছে কি
না—এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ। তারা
যেটা বলেছে সেটাই যথেষ্ট। তারাই মনিটরিং করছেন। আমরা এটুকু মনে করি, রাষ্ট্রদূতরা যাতে
তাদের শিষ্টাচার মেনে, তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন। এটাই আমাদের
প্রত্যাশা।
ফায়ার সার্ভিসের অবদান তুলে ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,
অপারেশনাল কাজে আত্মাহুতি প্রদান, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন এবং যেকোনো
জরুরি পরিস্থিতিতে জনগণকে তাৎক্ষণিক সেবা প্রদান করায় এ বাহিনী জনগণের আস্থার একটি
জায়গায় পরিণত হয়েছে।