নাজির বাজারে দুর্ঘটনা

সিলেটে নিহত বেড়ে ১৩, হাসপাতালে স্বজনদের আহাজারি

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, সিলেট

ছবি: বণিক বার্তা

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণ। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মৃত দাঁড়িয়েছে ১৩ জন। দুর্ঘটনার পরপরই খবর পেয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভিড় করতে থাকেন স্বজনরা।

আজ বুধবার (৭ জুন) সকাল সাড়ে ৫টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার নাজির বাজার এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। 

সিলেট মহানগর থেকে পিকআপে (সিলেট-ন ১১-১৬৪৭) করে প্রায় ৩০ জন নারী-পুরুষ নির্মাণ শ্রমিক জেলার ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার যাচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে ৫টার দিকে নাজিরবাজার এলাকার কুতুবপুরে পৌঁছালে মুনশীগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী বালুবাহী ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো-ট ১৩-০৭৮০) সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। তাৎক্ষণিকই ১১ জন মারা যান। পরে মৃত বেড়ে দাঁড়ায় ১৩ জন।

নিহতদের মধ্যে নয়জনের নাম-পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের হারিছ মিয়া (৫০), সৌরভ (২৫), সাধু মিয়া (৪০), তায়েফ নুর (৪৫), সাগর (১৮), রশিদ মিয়া (৪০), দুলাল মিয়া (৫৫), বাদশা মিয়া (৪৫) ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ওয়াহিদ আলী (৪০)।

এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। হতাহতদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতাল প্রাঙ্গণে বার বার মুর্ছা যাচ্ছিলেন নিহত দুলাল মিয়ার স্বজন মানিক মিয়া। তিনি নিজেও নির্মাণ শ্রমিক, তবে কাজ থাকায় আজ দুর্ঘটনায় পড়া দলটির সঙ্গে বের হয়নি। নিহত স্বামীর শোকে আহাজারি করছিলেন মিনা বেগম নামের আরেক নারী।

দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি শামসুদ্দোহা জানান, বেলা ১০টা পর্যন্ত ১৩ জন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছেন। তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ঢাকা সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

এর আগে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ এবং সিলেট ও ওসমানীনগরের ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একাধিক ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় হতাহতদের উদ্ধার করে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সিলেটের উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা ১১ জনের মৃতদেহ ও অন্তত ১০ জন গুরুতর আহতকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে পাঠিয়েছি। আমরা যাওয়ার আগে স্থানীয়রা আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন