১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় প্রস্তুত হচ্ছে জাতীয় মহাপরিকল্পনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় প্রস্তুত হচ্ছে জাতীয় মহাপরিকল্পনা। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) মার্কেট অ্যাসেসমেন্ট চূড়ান্ত করতে একটি কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন। কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বেজার কর্মকর্তা, বিনিয়োগকারী, ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

দেশব্যাপী পরিকল্পিত শিল্পায়ন গড়ে তুলতে অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য একটি জাতীয় মহাপরিকল্পনা প্রস্তুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালে নির্দেশ দেন। তারই ধারাবাহিকতায় এ পরিকল্পনা তৈরির করতে চাইছে বেজা। আগামীতে কোন এলাকায় কী ধরনের অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণ করতে হবে এবং একই সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের জন্য কী পরিমাণ জমির প্রয়োজন হবে তারও একটি ধারণা পাওয়া সম্ভব হবে। 

কর্মশালায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগর উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ফারুক বলেন, ‘জাতীয় মহাপরিকল্পনা প্রস্তুতে প্রায় ১০০ সরকারি ও বেসরকারি স্টেকহোল্ডারের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছি। যার মধ্যে রয়েছে বিখ্যাত দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারী, সেক্টর অ্যাসোসিয়েশন, চেম্বার অব কমার্স ও সরকারি কর্মকর্তারা।’ 

তিনি বলেন, ‘মার্কেট অ্যাসেসমেন্টে স্টেকহোল্ডারদের পছন্দ, বিনিয়োগের প্রবণতা, সেক্টরভিত্তিক বিনিয়োগের সুযোগ ও সুবিধা, ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ পরিকল্পনা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ইউটিলিটির প্রয়োজনীয়তা ও দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসায়িক প্রভাবের দৃশ্যকল্প বিশ্লেষণ ও বিবেচনা করা হয়েছে। এটি বিভিন্ন মানদণ্ডের সঙ্গে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো অবস্থানের মূল্যায়ন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে রফতানি সম্ভাবনা/আমদানি পরিপূরক খাত, প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাপ্যতা ও বিদ্যমান শিল্প ল্যান্ডস্কেপ বিবেচনা করে বাস্তবায়ন অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।’

বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, ‘মূলত ষষ্ঠ গভর্নিং বোর্ডের সভা অনুযায়ী, দেশব্যাপী অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য একটি জোন পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হচ্ছে। যাতে পরিকল্পিত শিল্পায়নের বিষয়টি অর্থবোধক হয়। একই সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক করিডোর বিবেচনায় নিয়ে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ জাতীয় মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা প্রয়োজন। এর সঙ্গে সংযুক্ত হবে সারা দেশের মাল্টিমোডাল যোগাযোগ ব্যবস্থা ও ইউটিলিটি ব্যবস্থা। কর্মশালায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সমীক্ষার ফলাফল উপস্থাপন করে এবং অংশগ্রহণকারীরা বিস্তারিত আলোচনায় অংশ নেন।’

উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাংক বেসরকারি বিনিয়োগ ও ডিজিটাল উদ্যোক্তা প্রকল্পের (পিআরআইডিই) মাধ্যমে ৫০০ মিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা করেছে। যার ৯৩ দশমিক ৪০ শতাংশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগর উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় করা হচ্ছে। প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর’ এর জোন-এ ও জোন-বি ও পারিপার্শ্বিক অন্যান্য জোনে বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে বেসরকারি বিনিয়োগের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন