সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতিতে অটল যুক্তরাষ্ট্র —জন কিরবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি এবং এ নিয়ে ঘোষিত ভিসানীতি বাস্তবায়নের বিষয়ে অটল রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউজের অধীন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি সোমবার সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

সম্প্রতি বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে জরুরি পদক্ষেপ নিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লেখেন দেশটির ছয় কংগ্রেসম্যান। ওই চিঠিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনে দায়ী ব্যক্তির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞার অনুমোদনসহ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সম্ভাব্য সর্বোত্তম পদক্ষেপের আহ্বান জানান কংগ্রেস সদস্যরা। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের এক ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়। 

জবাবে মানবাধিকার ও নির্বাচন বিষয়ে নিজ দেশের অবস্থান অটল বলে জানান জন কিরবি। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে অবিচল রয়েছি আমরা এবং সে প্রতিশ্রুতি অর্জনের লক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সম্প্রতি একটি ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয়েছে। এ নীতি অনুযায়ী বাংলাদেশের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এমন ব্যক্তিদের ভিসা দেয়ার বিষয়টিকে সীমিত করে আনা হবে।’

এর আগে গত ২৪ মে বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ-সংক্রান্ত ঘোষণা দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি জে ব্লিংকেন। 

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘‌বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যকে সহায়তা করতে আমি ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের ধারা ২১২(এ)(থ্রি)(সি)(‌“‍‌থ্রিসি”)-এর অধীনে একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করছি। এ নীতির অধীনে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে পরিগণিত যেকোনো বাংলাদেশী ব্যক্তির জন্য ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপে সক্ষম হবে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে বর্তমান ও প্রাক্তন বাংলাদেশী কর্মকর্তা-কর্মচারী, সরকারপন্থী ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র গত ৩ মে বাংলাদেশ সরকারকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।’

বিবৃতিতে ‘‌গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে’ এমন যেসব বিষয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, সহিংসতার মাধ্যমে জনগণকে সংগঠিত হওয়ার স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার প্রয়োগ করতে বাধা দেয়া এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন