রেকর্ড গতিতে বাড়ছে জাপানের পরিষেবা কার্যক্রম

বণিক বার্তা ডেস্ক

জাপানের পরিষেবা খাতের কার্যক্রম গত মে মাসে রেকর্ড সর্বোচ্চ গতিতে প্রসারিত হয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি বেসরকারি খাতের সমীক্ষা দেখিয়েছে, বৈদেশিক চাহিদা পুনরুদ্ধার এবং কভিড-১৯ বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদেশী পর্যটকের উত্থান অবদান রেখেছে এ প্রবৃদ্ধিতে। 

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত মাসে জাপানের আউ জিবুন ব্যাংকের পরিষেবা ক্রয় ব্যবস্থাপনার চূড়ান্ত সূচকে (পিএমআই) এপ্রিলের ৫৫ দশমিক ৪ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ৫৫ দশমিক ৯ পয়েন্টে উঠে এসেছে। পিএমআই ৫০ পয়েন্টের ওপরে থাকলে সেটাকে প্রবৃদ্ধি হিসেবে মনে করা হয় এবং নিচে থাকলে সংকোচন বোঝানো হয়। তথ্য বলছে, এ নিয়ে নয় মাস ধরে সূচকে প্রবৃদ্ধির গতি ধরে রেখেছে জাপান।

এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল মার্কেট ইন্টেলিজেন্সের অর্থনীতিবিদ উসামা ভাট্টি বলেন, ‘মহামারী বিধিনিষেধ শিথিলকরণের ফলে সংস্থাগুলো উৎসাহিত হয়েছিল। বিশেষত বিদেশী ও অভ্যন্তরীণ পর্যটন থেকে চাহিদা জোরালোভাবে বেড়েছে।’ বিশ্লেষকরা বলছেন, জাপানের এ ধরনের প্রবৃদ্ধির প্রবণতা নিকট ভবিষ্যতে ও মধ্যমেয়াদে অব্যাহত থাকবে বলে মনে হচ্ছে। কেননা দেশটিতে উল্লেখযোগ্য হারে বাণিজ্যিক রেকর্ড বেড়েছে। এছাড়া ব্যবসায়ের প্রত্যাশা সর্বকালের সর্বোচ্চের কাছাকাছি।

জাপান সরকার মহামারীসংক্রান্ত কঠোর সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ সম্প্রতি বাতিল করেছে। একই সঙ্গে ‘কভিড-১৯’-কে মৌসুমি ফ্লু ভাইরাসের মতো একই স্তরের শ্রেণীবদ্ধ করেছে। ফলে দেশটিতে বিদেশী পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে। 

গত এপ্রিলে দেশটি বিদেশী পর্যটক পেয়েছে প্রায় ২০ লাখ, যা মহামারী-পরবর্তী সর্বোচ্চ স্তরের। মহামারীজনিত নিষেধাজ্ঞা কমায় বাণিজ্যিক সাবইনডেক্স বা উপসূচক রেকর্ড সর্বোচ্চ গতিতে বেড়েছে।

সমীক্ষাটি দেখিয়েছে, এপ্রিলে জাপানের পরিষেবা কার্যক্রম বৃদ্ধির গতি কিছুটা শ্লথ ছিল। তবে পরবর্তী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের জন্য বাণিজ্যিক প্রত্যাশা ছিল শক্তিশালী। এজন্য পরিষেবা খাতের কোম্পানিগুলো বছরের চতুর্থ মাসেও অনেক কর্মী নিয়োগ করেছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টির দিক থেকে ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরের পর যা দ্বিতীয় দ্রুততম।

উৎপাদন ও পরিষেবা কার্যক্রমের পরিসংখ্যান একত্রিত করে তৈরি পিএমআই ২০১৩ সালের অক্টোবরের পর সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বেড়েছে। সূচকটি এপ্রিলের ৫২ দশমিক ৯ পয়েন্ট থেকে মে মাসে ৫৪ দশমিক ৩ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে, যা পাঁচ মাস ধরে ৫০ পয়েন্টের ওপরে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন