
দিনিপ্রো নদীর ওপর গুরুত্বপূর্ণ নোভা
কাখোভকা বাঁধ উড়িয়ে দেয়ার জন্য রাশিয়াকে অভিযুক্ত করেছে ইউক্রেন। ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কায়
ভাটির দিকে বসবাসকারীদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কিয়েভ। খবর দ্য গার্ডিয়ান।
দুর্যোগময় এই পরিস্থিতিতে আজ মঙ্গলবার
(৬ জুন) জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ফুটেজ দেখা
যায়, বাঁধের বেশিরভাগ অংশ ভেসে গেছে। পানির প্রবল ঢেউ নিচের দিকে নামছে।
ফেসবুক পোস্টে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর সাউদার্ন
অপারেশনাল কমান্ডের অভিযোগ, ‘রুশ দখলদার সৈন্যরা’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ উড়িয়ে দিয়েছে।
খেরসন অঞ্চলের গভর্নর ওলেক্সান্ডার প্রোকুদিন
বলেছেন, ইউক্রেনীয় নিয়ন্ত্রিত নদীর ডান তীরে প্রায় ১৬ হাজার মানুষ ‘সংকটাপন্ন এলাকায়’ রয়েছে। খেরসন
শহরের উজান থেকে লোকদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
ওই এলাকায় ইউক্রেনীয় আক্রমণাত্মক প্রতিরোধের
দ্বিতীয় দিনে এই বিপর্যয় ঘটেছে। ধারণা করা হচ্ছে, পাল্টা জবাব হিসেবে বাঁধ উড়িয়ে
দিয়েছে রাশিয়া। যা নদীর ওপার থেকে ইউক্রেনীয় আক্রমণের পরিকল্পনাকে প্রভাবিত করবে।
তবে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া বাঁধ ধ্বংসের
অভিযোগ অস্বীকার করেছে নোভা কাখোভকা শহরের স্থানীয় রুশ কর্তৃপক্ষ। পরে তারা ধসের জন্য
ইউক্রেনীয় গোলাগুলিকে দায়ী করে। ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি খেরসনের এক জরুরি পরিষেবা
কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, কাঠামোগত দুর্বলতা বাঁধটি পানির চাপে ভেঙে পড়েছে।
বন্যায় বেশি হুমকির মুখে নোভা কাখোভকা
নদীর স্রোতধারা বরাবর দ্বীপ ও দক্ষিণ খেরসনের রুশ-নিয়ন্ত্রিত বাম তীরের বেশিরভাগ অংশ।
এতে কত মানুষ ঘরবাড়ি হারাবে তা স্পষ্ট নয়।
এছাড়া জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রিয়েকটর শীতলীকরণের প্রয়োজনীয় পানির সংকটে পড়তে পারে ও ক্রিমিয়ার পানি সরবরাহ মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হতে
পারে।