সময়ের ভাবনা

জনসচেতনতাই পারে দূষণ রোধ করতে

ড. মল্লিক আকরাম হোসেন, জাহিদুল ইসলাম

জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির নেতৃত্বে ১৯৭৪ সাল থেকে প্রতি বছর ৫ জুনকে ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির ঘোষণা মোতাবেক ‘প্লাস্টিক দূষণ সমাধানে শামিল হই সকলে’ প্রতিপাদ্যে এবং ‘সবাই মিলে করি পণ, বন্ধ হবে প্লাস্টিক দূষণ’ স্লোগানে এবার বাংলাদেশে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করা হলো। প্লাস্টিক দূষণকে পরাজিত করার মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা করা এবারের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের মূল প্রতিপাদ্য। বিশ্বব্যাপী যেভাবে প্লাস্টিক ও প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার বেড়ে চলেছে, এই প্রতিপাদ্য তারই প্রতিফলন। প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার সীমিত না করলে আমাদের পরিবেশের জন্য হুমকি সৃষ্টি করবে পণ্যটি। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৫০ সাল নাগাদ ১২ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্য বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক পরিবেশে জমা হবে। প্রতি বছর ১৩ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্য সমুদ্রে গিয়ে জমা হচ্ছে। সমুদ্রে যে ধরনের বর্জ্য রয়েছে তার শতকরা ৮০ ভাগই প্লাস্টিক বর্জ্য। প্লাস্টিকের দূষণ এভাবে চলতে থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ সমুদ্রে মাছের চেয়ে প্লাস্টিকের উপস্থিতি বেড়ে যাবে।

প্লাস্টিক দূষণ হলো নির্দিষ্ট স্থানে পলিথিন ও সিন্থেটিক প্লাস্টিক পণ্যের জমে থাকা। চারপাশে প্রতিনিয়ত প্লাস্টিক পণ্যের সিঙ্গেল ব্যবহারের ফলে প্লাস্টিক দূষণের মাত্রাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। পলিথিন ব্যাগ, কসমেটিক প্লাস্টিক, গৃহস্থালির প্লাস্টিক, বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত প্লাস্টিক পণ্যের বেশির ভাগই পুনরায় ব্যবহার করা হয় না। এগুলোকে সাধারণত একবার (সিঙ্গেল ইউজ) ব্যবহার করে ফেলে দেয়া হয়। পরবর্তী সময়ে এগুলো পরিবেশে থেকে বর্জ্যের আকার ধারণ করে। প্লাস্টিক এমন এক রাসায়নিক পদার্থ, যা স্বাভাবিক পরিবেশে পচতে অথবা কারখানায় পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ করতে প্রায় ৪০০ বছরের বেশি সময় লাগে। তাই একে ‘অপচ্য পদার্থ’ হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়। বন্যপ্রাণী এবং তাদের আবাসস্থলের পাশাপাশি মানুষের জন্য যা বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করে।

বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক দূষণ নিয়ে কয়েকটি গবেষণা থেকে খুবই উদ্বেগজনক ফলাফল পাওয়া গেছে। সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় ৮০ শতাংশ মানুষের রক্তেও মাইক্রোপ্লাস্টিক পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণায় যে বিষয়টি উদ্‌ঘাটিত হয়েছে তাতে দেখা যায়, মাইক্রোপ্লাস্টিক রক্তের মাধ্যমে শরীরের অভ্যন্তরে চলাচল করতে পারে। শরীরের কোনো অঙ্গে মাইক্রোপ্লাস্টিক জমতে পারে। গবেষণাগারে পরিচালিত পরীক্ষায় দেখা গেছে, মাইক্রোপ্লাস্টিক মানুষের কোষের ক্ষতি করে। ২০২২ সালে মায়ের বুকের দুধে প্রথমবারের মতো মাইক্রোপ্লাস্টিক (অতি ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা) শনাক্ত করেছেন ইতালীয় বিজ্ঞানীরা। মায়ের বুকের দুধে যেসব মাইক্রোপ্লাস্টিকের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে তার মধ্যে আছে পলিথিন, পিভিসি ও পলিপ্রোপাইলিন। এর আগে ২০২০ সালে ইতালীয় বিজ্ঞানীদের এ দলই মানুষের গর্ভফুলে প্লাস্টিক কণা শনাক্ত করেছিলেন। ২০১০ সালের ১৯ এপ্রিল The seattles Time (দ্য সিটলস টাইম) নামক দৈনিকে একটি খবর খুব সাড়া দেয়। সিটল সমুদ্রসৈকতে মৃত পড়ে থাকতে দেখা যায় একটি বিশাল তিমিকে। পরে যখন সেই তিমির মৃত্যুর কারণ নিয়ে গবেষণা করা হয়, তখন দেখা যায় তিমির পাকস্থলীতে পাওয়া গিয়েছে বহু প্লাস্টিক পদার্থ। সেসব প্লাস্টিককেই সেই তিমির মৃত্যুর কারণ হিসেবে গণ্য করা হয়। উপরোক্ত গবেষণার ফলাফল আমাদের কাছে প্লাস্টিক দূষণের মাত্রা ও এর ব্যাপকতাকে স্মরণ করিয়ে দেয়। 

বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ২০০২ সালে পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে আইন করা হলেও বর্তমানে কার্যকর প্রয়োগের অভাবে এর সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। বিশ্বব্যাংকের ২০২০ সালের সমীক্ষা অনুসারে, বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর ক্ষেত্রে নানা উদ্যোগ নেয়া হলেও বাংলাদেশের শহরাঞ্চলে গত ১৫ বছরে (২০০৫ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে) প্লাস্টিকের ব্যবহার তিন গুণ বেড়েছে। ২০২০ সালে ৯ লাখ ৭৭ হাজার টন প্লাস্টিকের ব্যবহার হলেও তার মধ্যে মাত্র ৩১ শতাংশ পুনর্ব্যবহার করা হয়েছে। বাকিগুলো ভাগাড়, নদী, খাল, ড্রেন ও যত্রতত্র ফেলা হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি বছর প্রায় ২ লাখ টন প্লাস্টিক বাংলাদেশ থেকে বঙ্গোপসাগরে প্রবাহিত হয়। যার ফলে আমাদের বাস্তুতন্ত্রের মধ্যে মাইক্রোপ্লাস্টিক প্রবেশের কারণে শুধু সামুদ্রিক জীবন নয়, মানবস্বাস্থ্যের ওপরও সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলছে। 

বাংলাদেশে শীত মৌসুমে অসংখ্য পরিযায়ী পাখি অনেক দূর-দূরান্ত থেকে আসে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে দিন দিন এসব অভিবাসী পাখির সংখ্যা মারাত্মক হারে কমে যাচ্ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি বছর প্রায় ১০ লাখ পাখি প্লাস্টিক দূষণের শিকার হচ্ছে। এখনই এসব পরিযায়ী পাখির প্রায় ৯০ শতাংশের পাকস্থলীতেই পাওয়া যাচ্ছে প্লাস্টিক জাতীয় দ্রব্য। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৫০ সাল নাগাদ এ সংখ্যা দাঁড়াবে ৯৯ শতাংশে, যা এসব পাখির অস্তিত্বের পথে বড় বাধা।

বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে জলবায়ূ কূটনীতির দেশ হিসেবে পরিচিত হলেও সেই দেশেই অবাধে প্লাস্টিক, পলিথিনের ব্যবহার হচ্ছে। প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার কমাতে কোনো কার্যকর পদক্ষেপও নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। আমরা মনে করি, আইন লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হলে প্লাস্টিকের অবৈধ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি, ‘‌দূষণ কর’ ব্যবস্থাও চালু করা যেতে পারে। ‘দূষণ কর’ ভারতের কয়েকটি রাজ্যে ভালোভাবে প্রয়োগ করা শুরু হয়েছে। কলকাতায় কোনো শপিং সেন্টারে প্লাস্টিকের ব্যাগ নিতে গেলে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হবে।  

গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকা শহরে প্রতিদিন গড়ে ৬৪৬ টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হচ্ছে। আমাদের এ প্রিয় শহরে আমরা ১ কোটি ৪০ লাখ পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করে অবচেতন মনে অন্যান্য বর্জ্যের সঙ্গে ফেলে দিচ্ছি। একশর বেশি ফ্যাক্টরিতে এসব পলিথিন ব্যাগ তৈরি হয়। পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ করে দেশে আইন হয়েছে এক দশকের বেশি আগে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, আইনের প্রয়োগের অভাব। পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ হওয়ার পর গত এক দশকে ঢাকা শহরে পলিথিনের উৎপাদন ও ব্যবহার বেড়েছে তিন গুণ। পরিবেশকে বিপন্নকারী পৃথিবীর শতকরা ৫১ ভাগ প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদন হচ্ছে শুধু এশিয়া মহাদেশের দেশগুলোয়। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, বাংলাদেশে প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশে যোগ হচ্ছে, যা সব ধরনের বর্জ্যের শতকরা ৮ ভাগ।

যদিও এটা মনে হতে পারে যে প্লাস্টিক দূষণের সমস্যা সমাধান করা রিসাইক্লিং বা খালি বোতল পরিষ্কার করার মতোই সহজ। কিন্তু সত্য হলো যে প্লাস্টিক দূষণ সৃষ্টি করে তা বড় বা ছোট হতে পারে। প্লাস্টিক দূষণের প্রধান কারণগুলো হলো: প্লাস্টিক প্রায় সর্বত্র ব্যবহৃত হয় এবং সহজলভ্য, নগরায়ণ এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে চাহিদা বেশি, প্লাস্টিক সস্তা এবং উৎপাদনসাশ্রয়ী মূল্যের, প্লাস্টিক এবং আবর্জনা পরিষ্কার করা সহজ, ধীর পচন হার, মাছ ধরার জাল তৈরি এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এসব প্লাস্টিক একবার ব্যবহার করে ফেলে দেয়া হয়।

বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫-এর শুরুতে ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্যকে চিহ্নিত করা হয়েছে। আইন অনুসারে ‘‌ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য হলো যেকোনো বর্জ্য যা নিজস্ব ভৌত বা রাসায়নিক গুণগত কারণে অথবা অন্য কোনো বর্জ্য বা পদার্থের সংস্পর্শে আসার কারণে বিষক্রিয়া, জীবাণু সংক্রমণ, দহন, বিস্ফোরণ ক্রিয়া, তেজস্ক্রিয়া, ক্ষয়ক্রিয়া বা অন্য কোনো ক্ষতিকর ক্রিয়া দ্বারা পরিবেশের ক্ষতিসাধনে সক্ষম। এ সংজ্ঞা অনুসারে পলিথিন, প্লাস্টিক ও প্লাস্টিকজাতগুলো ক্ষতিকর বর্জ্যের অন্তর্ভুক্ত।’  আইনের ৬ এর ‘গ’ ধারা অনুসারে অপরাধ হিসেবে এসব বর্জ্য পদার্থ তথা ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য উৎপাদন, আমদানি, মজুদকরণ, বোঝাইকরণ, পরিবহন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পরিবেশের ক্ষতিরোধকল্পে সরকার অন্যান্য আইনের বিধান সাপেক্ষে, বিধি দ্বারা ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, ধারণ, মজুদকরণ, বোঝাইকরণ, সরবরাহ, পরিবহন, আমদানি, রফতানি, পরিত্যাগকরণ ডাম্পিং ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।

এছাড়া বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তর পরিবেশের সুরক্ষার জন্য এবং দূষণমুক্ত রাখার জন্য বেশকিছু আইন প্রণয়ন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা ১৯৯৭, ওজোন স্তর ক্ষয়কারী দ্রব্য (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা-২০০৪, পরিবেশ আদালত আইন ২০১০, বাংলাদেশ জীবন নিরাপত্তা বিধিমালা ২০১২, বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য আইন ২০১৭, জাতীয় পরিবেশ নীতি ২০১৮, ঝুঁকিপূর্ণ ই-বর্জ্য বিধিমালা ২০২১, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০২১। তবে শঙ্কার কথা হলো এসব নীতিমালা মহান সংসদে পাস হলেও এটি প্রয়োগে কর্তৃপক্ষের যথাযথ তৎপরতা দেখা যায়নি। ফলে বন্ধ করা যায়নি অবাধে পলিথিন ও প্লাস্টিকজাত দ্রব্যের ব্যবহার। 

প্লাস্টিক দূষণ রোধে যেসব পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে তার মধ্যে প্রথমেই আসবে প্লাস্টিকের বেআইনি উৎপাদন, বাজারজাত এবং ব্যবহার রোধে ‘কর’ প্রয়োগ করতে হবে। বিদ্যমান আইনের কঠোর প্রয়োগ, প্রয়োজনে বিদ্যমান আইন সংস্কার করে শাস্তির পরিমাণ বৃদ্ধি এবং তার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তার পাশাপাশি অনুকরণযোগ্য ইতিবাচক অবদানের জন্য পুরস্কার দেয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এছাড়া বিশ্বব্যাপী ও আঞ্চলিক পর্যায়ে প্লাস্টিক দূষণ ব্যবস্থাপনা প্রণীত আইন ও নীতিমালাকে হালনাগাদ করতে হবে। যদিও আমাদের জীবনে প্লাস্টিক দ্রব্যের ভূমিকা স্বীকার্য, তবে তা ব্যবহারে সতর্কতা এবং পরিমিতি আনতে হবে। প্লাস্টিক ব্যবহারে পুনর্চক্রায়নকে (রিসাইক্লিং) উৎসাহিত করতে হবে। প্লাস্টিক উৎপাদন ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক সব অংশীজনের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কমিউনিটিভিত্তিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করতে হবে। প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে সরকার ও বেসরকারি খাত কর্তৃক বিভিন্ন প্রণোদনামূলক কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলোতে প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ ও সীমিত করতে হবে এবং প্লাস্টিকের পরিবেশবান্ধব বিকল্প উদ্ভাবনের প্রচেষ্টা নিতে হবে। প্লাস্টিক দ্বারা সমুদ্র দূষণ রোধের পাশাপাশি সমুদ্র সম্পদ সংরক্ষণ নিশ্চিতে নিয়মিত তদারকি এবং দূষণ আইনের ব্যবহারে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহায়তা নিতে হবে। সঙ্গে ‘প্যারিস চুক্তি’ বাস্তবায়নে সব শিল্পোন্নত দেশের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে হবে। সহজে পচনশীল (বায়োডিগ্রেডেবল) প্লাস্টিকের ব্যবহারকে উৎসাহিতকরণ এবং পাটের তৈরি সোনালি ব্যাগ ও অন্যান্য পাটজাত দ্রব্যকে প্লাস্টিকের বিকল্পে প্রণোদনা প্রদান করতে হবে। বাংলাদেশসহ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য প্রতিশ্রুত তহবিল দ্রুত ও সহজতর পদ্ধতিতে ছাড় করতে হবে। পরিবেশ সুরক্ষা নীতি ও প্লাস্টিক দূষণ নীতিমালাকে সমন্বয় করে আধুনিক জ্ঞানের ভিত্তিতে তা হালনাগাদ করতে হবে আর সবশেষে এটাই বলা মানুষের মধ্যকার অসচেতনতাই ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঠিক পদক্ষেপের অভাবের কারণে প্লাস্টিক দূষণ ঘটছে। আমাদের নিজেদের সচেতনতা ও কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল ভূমিকাই পারে পরিস্থিতির পরিবর্তন আনতে।


ড. মল্লিক আকরাম হোসেন: অধ্যাপক, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

জাহিদুল ইসলাম: সাবেক সভাপতি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় 

প্রেস ক্লাব 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন